টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেন আজ নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ফরচুন বরিশাল ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হলো দুইটি, ফিফটিও করেছেন দুই ব্যাটসম্যান। আবার বল হাতেও দেখা মিলেছে হ্যাটট্রিকের। তবে সবকিছুই ছাপিয়ে গেছে দ্বিতীয় ইনিংসে করা পারভেজ হোসেন ইমনের সেঞ্চুরিতে, যা তাকে বানিয়েছে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান।
দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর ৫৪ বলে ১০৯ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৩৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ২২০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল রাজশাহী। ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকসহ ৫ বলে ৪ উইকেট নেন কামরুল রাব্বি। এখানেই শেষ হয়নি ম্যাচের রোমাঞ্চ। আরও অনেক বেশিই যেন বাকি ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে।
২২১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশাল ম্যাচ জিতেছে মাত্র ১৮.১ ওভার ব্যাটিং করে। তাদের এ জয়ের মূল নায়ক অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। ম্যাচের উইনিং শটে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। তখন তার নামের পাশে বল সংখ্যা মাত্র ৪২টি। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটসম্যান এত কম বলে সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫৪ বলে ১০৯ রান করার পথে তামিম ইকবালের করা ১১ ছক্কার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন নাজমুল শান্ত। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তামিমের আরও একটি রেকর্ড ভেঙেই দিয়েছেন পারভেজ ইমন। যিনি এখন হয়ে গেছেন বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান।
এতদিন ধরে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি ছিল ৫০ বলে, তামিমের করা। ২০১৮-১৯ মৌসুমের বিপিএল ফাইনালে ৬১ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে মাত্র ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন তামিম। সেদিনই ১১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। আজকের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে যে রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন নাজমুল শান্ত। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ভেঙে ৫০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড, পারভেজ ইমন সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র ৪২ বলে।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে উইকেটে এসে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন পারভেজ ইমন। তার ব্যাট থেকে এসেছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি। জয়ের জন্য যখন ১২ বলে দরকার ছিল ৪ রান, তখন বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি মাত্র ৪২ বলে নিজের সেঞ্চুরিও পূরণ করেন ইমন। তার ৪২ বলে অপরাজিত ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি চারের সঙ্গে ৭টি বিশাল ছয়ের মারে।