ওশানে থমাসের লেন্থ বল কাট করে ডিপ পয়েন্টে পাঠালেন গ্লেন ফিলিপস। দৌড়ে প্রান্ত বদলের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিপসের গগনবিদারী চিৎকার। ৯৯ থেকে ফিলিপস পৌঁছে গেলেন তিন অঙ্কে।
ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। কিন্তু উদযাপনের উপলক্ষ্যটা আরো বড়। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মাত্র ৪৬ বলে মাউন্ট ম্যাঙ্গানিউতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ফিলিপস।
একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২০১৮ সালে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কলিন মুনরো। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ৪৭ বলে। এ সংস্করণে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ডেভিড মিলারের দখলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ‘কিলার’ মিলার।
ব্যাটিংয়ে চার নম্বরে নেমেছিলেন ফিলিপস। মার্টিন গাপটিল (৩৪) ও সেইফার্ট (১৮) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। সপ্তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি পাওয়া কঠিন-ই নয় প্রায় অসম্ভব কাজ। কিন্তু অসম্ভব কাজ খুব সহজে করে দেখিয়েছেন ফিলিপস। ২২ বলে ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। পরের ২৪ বলে পেয়েছেন শতরান। সব মিলিয়ে ৫১ বলে ১০ চার ও ৮ ছক্কায় ফিলিপস করেন ১০৮ রান। কনওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৬৫ রান।
তৃতীয় উইকেটে ফিলিপস ও কনওয়ে ১৮৪ রানের জুটি গড়েন। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে যা যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১৬ সালে মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামস ১৭১ রানের জুটি গড়েছিলেন। এছাড়া এ সংস্করণে যে কোনো উইকেটে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। প্রথম তিনটি জুটি হজরত উল্লাহ জাজাই ও উসমান গনি (২৩৬), অ্যারণ ফিঞ্চ ও ডার্চি শর্ট (২২৩) ও কাইল কোয়েটজের ও জর্জ মুনসের (২০০) ।
দুই ব্যাটসম্যানের আগ্রাসনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান করে স্বাগতিকরা। অতিথিরা ভালো করতে পারেননি। ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬৬ রান। ৭২ রানের হারে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন কাইরন পোলার্ড। এছাড়া হেটমায়ার ২৫, মায়ার্স ২০, পলের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন জেমিইসন ও স্ট্যানার।
সোমবার একই মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।