প্রথম ইনিংসে শুরুতেই উইকেট হারানোর পর মুমিনুলের ব্যাটে সামলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল ২২২ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ার পরে; কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আর হাসেনি নিজ শহরে খেলা মুমিনুলের ব্যাট, সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশও। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান, প্রথম ইনিংসে পাওয়া ৭৮ সহ মোট লিড ১৩৩ রানের।
অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৪৬ রানেই থামিয়ে দিয়ে ৭৮ রানের লিড পাওয়ার পর ভাবা হচ্ছিলো, তিনশ ছাড়ানো কোনো একটা সংগ্রহ ছুঁড়ে দেয়া যাবে সফরকারীদের সামনে; কিন্তু দ্বিতীয় দিন শেষে তিনশ যেন এখন দূরের বাতিঘর। সাজঘরে ফিরে গেছেন পাঁচ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান। টিকে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম, নামার অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
উইকেটের যে অবস্থা তাতে তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ দল কতদূর যেতে পারবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেছে। তবে যতোই করুক না কেন বাংলাদেশ, ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারলে দেড়শ রানের লিড হলেই জেতা সম্ভব বলে মনে করেন অভিষিক্ত অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
নিজের অভিষেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের স্পিন বিষে নাকাল করেছেন নাঈম। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ভালো জায়গায় বোলিং করি ১৫০ রানও কঠিন হবে ওদের জন্য।’
তবে নাঈম একই সাথে মনে করিয়ে দিয়েছেন এখনও অলআউট হয়নি বাংলাদেশ। হাতে থাকা পাঁচ উইকেটে ভালো ব্যাটিং করে লিড যদি তিনশ পার করা যায় তাহলে বোলারদের কাজ সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
নাঈম বলেন, ‘আমরা তো এখনো অলআউট হয়নি। ভালো খেলতে পারলে আমাদের স্কোর ৩০০ থেকে ৩৫০ হতে পারে! আবার অল্প রানেও আউট হয়ে যেতে পারি। যদি বড় স্কোর হয়, তাহলে তো আমাদের বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যাবে।’
তবে নাঈম এটিও জানিয়ে দেন যে, স্কোর যতোই হোক না কেন শক্তিশালী স্পিন অ্যাটাক থাকায় সেটি ডিফেন্ড করতে সমস্যা হবে না বাংলাদেশের। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যতক্ষণ সম্ভব ব্যাট করতে পারি ততক্ষণ ব্যাট করা। এরপর যত স্কোর হবে সেটা ডিফেন্ড করবো। কারণ উইকেটে তো স্পিন করছে, আমাদের দলে ভালো স্পিনার আছে, সাকিব ভাই, তাইজুল ভাই, মিরাজ ভাই। সমস্যা হবে না আশা করি।’