দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে নয়াদিল্লি থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে নয়াদিল্লির ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে রওনা দেয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

 

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার (৮ জুন) নয়াদিল্লিতে যান শেখ হাসিনা। রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি একান্তে বৈঠক করেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান এবং তাকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে দুই নেতা বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার ব্যাপারে আশা ব্যক্ত করেন।

টানা তৃতীয়বারের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, মরিশাস ও সিশেলসের শীর্ষ নেতারা। অনুষ্ঠানে ৮ হাজারেরও বেশি বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন। তারা পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভোজসভায় যোগ দেন।

 

এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে সোমবার সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার আবাসস্থলে বৈঠক করেন। পরে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে রোববার সকালে শেখ হাসিনা বিজেপির সিনিয়র নেতা এল কে আদভানির সঙ্গে তার নয়াদিল্লির বাসভবনে দেখা করেন এবং কুশলবিনিময় করেন। পরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

গত বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে কথোপকথনের সময় তার সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান।

 

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক এলায়েন্স ২৯৩টি আসন জিতে আবার ক্ষমতায় এসেছে। বিরোধী দলীয় জোট ২৩৪টি আসন পেয়েছে।