নিজেকে গড়ে তুলতে নিজেকে জানো’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো সবার জন্য বিনামূল্যে অনলাইনে মানসিক সাপোর্ট ও তথ্যসেবা চালু করতে যাচ্ছে ‘ড্রিম সাইকোলজি’। আগামী ১ এপ্রিল থেকে চালু হতে যাওয়া এই সেবার মাধ্যমে সবাই ২৪ ঘন্টা অনলাইনে যোগাযোগ করে তাদের মানসিক সমস্যা সম্পর্কে জানাতে পারবেন এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারবেন।
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সজীবুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন- একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের জিএম মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহীম মল্লিক সুজন, জোনায়েদ রাব্বি পিয়াস প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে পরিচালক সজীবুল ইসলাম বলেন, ড্রিম সাইকোলজির শুরুর দিকে অল্প পরিসরে মানসিক সাপোর্ট ও তথ্য সেবা দেয়া হতো। কিন্তু দিন দিন এই সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই ক্রমবর্ধমান এই চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক বৃদ্ধির বিষয়টিও সামনে চলে আসে। তথ্য সেবা নিতে আগ্রহীদের সহায়তার জন্য প্রাথমিকভাবে ড্রিম সাইকোলজির ২৫ স্বেচ্ছাসেবককে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের নাসিরুল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট। সাধারণ মানুষ ও মেন্টাল হেলথ প্রফেশনালদের মাঝে ড্রিম সাইকোলজির স্বেচ্ছাসেবকরা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সাইকোলজি নিয়ে সঠিক ও যথার্থ তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এতে করে মানসিক অশান্তি, যন্ত্রণা, হতাশা, চাপ, উদ্বেগ, হীনমন্যতা বা অন্যান্য মানসিক জটিলতায় মানুষ মুক্তির উপায় হিসেবে আত্মহত্যা বা ক্ষতিকর পথ বেছে না নিয়ে বরং প্রফেশনালদের কাছে যেতে উদ্বুদ্ধ হবে। এর পাশাপাশি আগ্রহী ব্যক্তিরা চাইলে সরাসরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও দেখাও করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে এটি প্রথমবারের মতো অনলাইনে ২৪ ঘন্টা ফ্রি মানসিক সাপোর্ট ও তথ্যসেবা, বিষয়টি নিঃসন্দেহে খুবই ইতিবাচক এবং মানুষের জন্য কল্যাণকর ফল বয়ে আনবে। ড্রিম সাইকোলজি টিমের মানুষের প্রতি কাজ করার যে মনোভাব সেটি খুবই আশাব্যঞ্জক। ভবিষ্যতে আমরা এরকম আরও অনেক কাজ শুরু করবো যা মানুষকে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মে মাসে স্বল্প পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থীর হাতে জন্ম নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুক, ইউটিউব এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চলতে থাকে স্বেচ্ছাসেবি এই সেবা প্রদান কার্যক্রম। উদ্ভাবকের খোঁজে রিয়্যালিটি শো’র প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২৫তম সেরা উদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এরপর আরও দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে সেবাগ্রাহী মানুষের সংখ্যা।