দেশে আইনের শাষন ও সু শাষন প্রতিষ্ঠা হলে আজ আর কোন মেয়েকে নির্যাতিত হত না-শিরীন আখতার এমপি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি বলেছেন, আজকে আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে পাশাপাশি দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে গেছে।

 

আজ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুঠপাঠ হয়ে যাচ্ছে আমরা ওদের কিছুই করতে পারছি না। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই তবে লুঠপাঠ চাই না।

 

আজ যারা লুঠপাঠ করে খাচ্ছে আমরা তাদের শাস্তি চাই। প্রধানমন্ত্রী লুঠপাঠের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে তার জন্য জাসদের পক্ষ ধন্যবাদ জানাই।

 

তিনি বলেন দেশে আইনের শাষন ও সু শাষন প্রতিষ্ঠা হলে আজ আর কোন মেয়েকে নির্যাতিত হত না। জাসদ সব সময়ে আইনের শাষন ও সু-শাষনের কথা বলে যাচ্ছে বলে যাবে।

 

এমপি শিরীন আরো বলেন আমরা স্বাধীন পেয়েছে কিন্তু মুক্তি পাই নাই। আমাদের বড় বাধা দূর্নীতি,লুঠপাঠ আর অসম্প্রদায়ীকতার শক্তি।

 

আজ ও বিভিন্ন স্থানে সাঈদির ওয়াজ শোনা সাঈদির ওয়াজ বন্ধ করার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান।

 

আজ শনিবার (২৫ই) জানুয়ারী বরিশাল অশ্বিনী কুমার টাউন হলে বরিশাল জেলা ও মহা নগর (জাসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা গুলো বলেন।

 

বরিশাল মহানগর (জাসদ) সভাপতি মোঃ মজিবুল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শফি উদ্দিন মোল্লা,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড, হাবিুর রহমান শওকত,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোঃ আনায়ারুল হক,দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লা হেল কায়ূম।

 

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন এ্যাড,আব্দুল হাই খন্দকার,মোঃ মহসিন,এ্যাড,আহসানুল কবির বাদল,দুলাল সাহা,জাহাঙ্গীর কবির মুকুল ও মোসলেম সিকদার প্রমুখ।

 

এর পর্বে বেলা সাড়ে ১২ টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল ফ্লাগ স্টানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে বরিশাল জেলা ও মহানগর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্ধোধন করেন শিরীন আখতার এমপি ও কেন্দ্রীয় সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এসময় শিরিন আখতার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির পর আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৪ দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাম্প্রদাায়িক শক্তি জঙ্গীবাদ মোকাবেলা করার জন্য প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এইসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

 

বার্ষিক সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সম্পাদক সহ দুটি কমিটির ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়।

 

এর পড়ে নগরীতে জেলা ও মহানগরের জাসদের পক্ষ থেকে একটি র‌্যালি বেড় করা হয় নগরীতে র‌্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল চত্বরে এসে সম্মে,লনের কার্যক্রম শেষ করে।