দেশের সব গ্রাম হবে ডিজিটাল : মোস্তাফা জব্বার

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের সব গ্রাম হবে ডিজিটাল। এই লক্ষ্যে গ্রামীণ জনপদে তথ্যপ্রযুক্তির সব সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী ইশতেহারে যে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ কথা বলেছিলেন তা আজ ডিজিটাল গ্রামে রূপান্তর ঘটছে।

নাটোরের সিংড়া থানার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শনিবার বিকেলে সিংড়া কোর্ট মাঠে শোভাযাত্রা উত্তর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামীতে দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হবে মানব সম্পদ। সেই সম্পদ গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আমাদের অতীতের সময়ের মধ্যে গত ১০ বছরে আমরা ডিজিটাল যুগে এসে পৌঁছেছি। এই দেশের সম্ভাবনাময় যুবশক্তি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করে দেশকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ষাটের দশকে উপমহাদেশের মধ্যে সিংড়ার হুলহুলিয়া গ্রামের কম্পিউটার প্রোগ্রামার হানিফ উদ্দিন মিয়ার হাত ধরে এই দেশে কম্পিউটারের প্রচলন ঘটে। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশ আইটিএল’র সদস্য পদ লাভ করে এবং বেতবুনিয়াতে স্থাপিত হয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে দুই লাখ পুলিশের সদস্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এক হাজার থানাকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বর ব্যবহার করে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরি সেবা পাচ্ছেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এম জিয়াউল আলম, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন ও নাটোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ।

নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।