আর্থিক সঙ্কটের কারণে অলিম্পিক বাছাই খেলতে নারী ফুটবল দলকে মিয়ানমারে পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, দেশের জন্য এর চেয়ে বড় বদনাম আর হতে পারে না।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বিসিবি সভাপতিকে নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কটু মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে উল্লিখিত মন্তব্য করেন নাজমুল হাসান পাপন।
ব্যক্তি পাপনকে নিয়ে সালাউদ্দিন কী বলেছেন, তাতে কর্ণপাত করতে চান না পাপন। তবে, মেয়েদের অলিম্পিকের বাছাই খেলতে যেতে না পারার বিষয়টি মানতে পারছেন না দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি পাপন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখানে অন্য ব্যাপার আছে। এটা দুঃখজনক। দেশের জন্য এর চেয়ে বড় বদনাম হতে পারে না। আমরা বলছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সারা পৃথিবী মেনে নিচ্ছে। সে জায়গায় আমরা বলছি, ২০ লাখ টাকার জন্য আমাদের দেশের মেয়েরা প্রি-অলিম্পিক খেলতে যেতে পারে না। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর হয় না। এজন্য এই টপিক নিয়ে কথা বলতে চাই না। এদের সঙ্গে কথা বলার কোনো প্রশ্নই আসে না।’
বিসিবি সভাপতি জানান, বিষয়টি যদি বাফুফে আরও আগে বলত, তাহলে আর্থিক সঙ্কট কেটে যেত। ক্রিকেটাররাও টাকা দিতে পারত।
এ সময় পাপন আরও জানান, ফুটবল ফেডারেশনের পরিচালকদের কারও কারও দৈনিক খরচ ২০ লাখ টাকা।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, আমি কারো সঙ্গে কথা বলিনি। আমাদের প্লেয়াররা দিয়ে দিতো। খালি বলতে একবার। এ কী! এত গোপনে জিনিসটা রেখে, যে প্রসেসে করেছে, এটা খুব দুঃখজনক। আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ে ফুটবল বোর্ডে যে পরিচালকরা আছে… অবিশ্বাস্য। ২০ লাখ টাকা দিতে পারে না। প্রতিদিন এদের খরচই তো ২০ লাখ টাকা। আমার কাছে এটা খুব আশ্চর্য লাগে।’
এর আগে পাপনকে কটাক্ষ করে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘সবার ব্যক্তিত্ব তো এক না। আমি তো লোক দেখিয়ে বলব না, এই প্রধানমন্ত্রী ফোন দিয়েছে। আমি ওরকম না। আমি ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। আমি ওই নাটক করতে পারব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি। আমি লোক দেখাতে পারব না।’
প্রধানমন্ত্রীর ফোন বিষয়ে পাপন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ফোন দিলে যেকোনো অবস্থাতেই তিনি ধরবেন।
এ সময় বিসিবি সভাপতি বলেন, টাকার হিসেব চাওয়াতেই মূলত সালাউদ্দিন এমন খেপেছেন।
‘দেখেন, সাধারণ জিনিস। প্রথম কথা হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফোন করলে আমি যেখানেই থাকি, যে অবস্থায় থাকি ফোন ধরবই। আমি জানি না, এটা নিয়ে কেন বলেছে। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
‘আমার মনে হয়, সমস্যাটা আপনাদের। আপনারা এত বাজে প্রশ্ন করলেন কেন? আপনারা হিসাব চাচ্ছেন, টাকা কী করেছে? আপনারা এমন প্রশ্ন করতে যান কেন? এটা করলে তো উনার মাথা খারাপ হবে, এটা সবাই জানেন। এমন প্রশ্ন করেন কেন? করলে মাথা ঠিক থাকবে?’