দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক গলাক— সেটা আমরা চাই না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও দেশের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনও প্রস্তাব দিলে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ মন্তব্য করেন এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে অন্য কোনও দেশের ‘প্রেসক্রিপশন’ দেওয়ার দরকার নেই। কারণ এগুলো বাংলাদেশের ডিএনএ’র গভীরেই আছে। বর্তমান সরকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে মতামত ছিল আমরা সেটা শুনে যাচাই-বাছাই করেছি। জাতিসংঘ যখন ৭৬টি গুমের অভিযোগ করলো, তখন আমরা সিরিয়াসভাবে নিয়েছি। তখন খতিয়ে দেখলাম এরমধ্যে ১০ জন লোক দিব্যি বাড়িতে বসে আছে। ভারতীয় পত্রিকা রিপোর্ট করলো এরমধ্যে দুই জন ভারতীয় নাগরিক। আর এরমধ্যে ২৮ জন সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামি। তারা যদি গঠনমূলক ভালো কোনও প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তাহলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।
ড. মোমেন বলেন, আমরা বলতে চাই, আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও পরামর্শ বা মাতব্বরি করার সুযোগ নেই। কেননা এসব বিষয়ে আমরা সিরিয়াস। কারণ ১৯৭১ সালে এসবের জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমরা চাই না আমেরিকা-রাশিয়া কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে। আমরা চাই প্রতিটা দেশ জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী চলবে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ নাক গলাক— সেটা আমরা চাই না।
রাশিয়া বাংলাদেশের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এটা তাদের জিজ্ঞাসা করুন।
ঢাকা মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, হলি আর্টিজান হামলায় জাপানি নাগরিকসহ ২০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিক নিহত হওয়া সত্ত্বেও সরকার জাপানের নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞ।