ঢাকার কেরানীগঞ্জে ভারতীয় নকল কসমেটিকস ও পণ্যসামগ্রী তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। দিনব্যাপী অভিযান শেষে সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১৪ লাখ টাকা জরিমানাসহ সিলগালা করা হয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠান।
সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেরানীগঞ্জের মুসলিমাবাদের পশ্চিম বরিসুর এলাকায় একটি বাড়িতে এই কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
বিএসটিআইয়ের সহযোগিতায় র্যাব-১০ অভিযান চালায়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি জানান, অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটিতে ভারতের স্কিনশাইন, শীসা হেয়ার ওয়েল, মুভ (পেইন রিলিফ), ভাটিকা ওয়েল এবং সেনসোডাইন টুথপেস্টসহ ২৪ রকমের কসমেটিকস পণ্য হুবহু নকল তৈরি করা হচ্ছে। কারখানায় কোনো কেমিস্ট ছাড়া বাংলাদেশি কাঁচামাল দিয়ে এসব ভারতীয় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাগানো হচ্ছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই’র ভুয়া মানচিহ্ন।
সারওয়ার আলম বলেন, মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা প্রতারণা করছে। এগুলো মানবদেহের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মেধা অনেক ভালো, কিন্তু কিছু লোক সেটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। কোনো রসায়নবিদ নেই, কোনো বিশেষজ্ঞ নেই কিন্ত আসল পণ্যের মতো হুবহু পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করছে। অথচ ক্ষতিতে পড়ছেন ক্রেতা ও ভোক্তারা।
বিদেশি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের ২৪ প্রকারের নকল প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন করায় মনির হোসেনসহ (৪১) ও অপর পাঁচজনকে এক বছর, দুইজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া সামসুদ্দিনকে (৪৩) দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড, মো. মাইনুদ্দিন (৫৫), মো. আমান (৩৮), মোহাম্মদ উল্লাহ নবাব (২৮), মো. ইকবাল ও মো. খালেদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
অভিযানে ৫টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।