দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। কর্মসূচি চলাকালে কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আবার কোথাও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে।

 

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে এসব কর্মসূচি শুরু হয়ে দিনের শেষ ভাগেও চলমান ছিল।

আন্দোলনে উত্তাল নারায়ণগঞ্জ:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দুই নাম্বার গেট, চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও বিজয়স্তম্ভের সামনে গণমিছিল এবং বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

 

গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পাবিপ্রবি শিক্ষকদের মানববন্ধন:
চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৩ জন শিক্ষক পাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

শিক্ষকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ,  ব্যাবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অদিতি বিশ্বাস, পাবিপ্রবি’র গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ) বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ ওবায়দুল্লাহ, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাব্বা রুহী, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর হায়দার, গণিত বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. উদয় সংকর বসাক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

নরসিংদীতে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে শিক্ষকদের সমাবেশ:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নরসিংদীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা। পরে তারা নরসিংদী সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করেন। আজ দুপুরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ন্যাশনাল কলেজ অব এডুকেশনের পরিচালক আরিফ পাঠান, নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন, নরসিংদী প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, নরসিংদীর ব্রাহ্মন্দী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক মইনুল ইসলাম মিরু, নরসিংদী বিজ্ঞান কলেজের প্রভাষক নাজমুল আলম সোহাগ, নরসিংদী ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রভাষক মহসিন খন্দকার ও নারায়ণপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক জহির মৃধা।

শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে জনসমুদ্র চট্টগ্রামের নিউমার্কেট চত্বর:

গ্রেপ্তার ছাত্রদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ৯ দফা দাবিতে চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট চত্বরে সমবেত হয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা না থাকায় পুরো নিউ মার্কেট এলাকা রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি বিস্তৃত হয়ে নগরীর স্টেশন রোড, জুবলি রোড এবং কতোয়ালীর মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ। ৯ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

 

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলী-যুবলীগের সংঘর্ষ:
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে। এসময় ১০ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলের জন্য জড়ো হতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে জিলা স্কুলের গেটে তালা ভেঙে ছাত্রছাত্রীরা ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট এলাকায় জড়ো হন। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জিলা স্কুলের সড়কের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তাদের সমাবেশে গুলিবর্ষণ করেন। ১০জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

 

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‌‘হাসপাতালে পাঁচ জন ভর্তি রয়েছেন। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি। পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’

এ বিষয় জানতে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্ল্যাহ খোকনকে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৌম্য সরকার জানান, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। ইউএনও এবং আমি গাড়িতে ছিলাম। বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আমার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। কোনো ভাবে আমরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই।’

কুমিল্লার পুলিশ সুপার সাইদুর ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। কেউ মারা যাননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে, পরিবেশ এখন শান্ত।’

কুষ্টিয়ার রাজপথে অভিভাবকরা:
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। আজ দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। যে কোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশে মোতায়েন করা রয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সিলেটে শিক্ষার্থী-পুলিশ দফায় দফায় সংঘর্ষ:
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা থেকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এসময় আন্দোলনকারী, পুলিশ ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুর ২টা থেকে শহিদ মিনারের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের  ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়। ফলে চৌহাট্টা ও জিন্দাবাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আন্দোলনকারীরা চৌহাট্টা থেকে নয়াসড়ক, জিন্দাবাজার ও দরগা গেটমুখী সড়কে ভাগ হয়ে যায়। তিন দিক থেকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় একাধিক পুলিশ সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। তাৎক্ষণিক তাদের কারও পরিচয় জানা যায়নি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ চড়াও হয়। ফলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করায় পুলিশ বাধা দেয়নি। একপর্যায়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউড গ্রেনেড ছুঁড়ে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড মোড়ে শনিবার সকালে দুই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। আন্দোলন চলাকালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি সেখানে বিজিবি মোতায়েন ছিলো। পরে পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন তারা। আন্দোলন চলাকালে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বিক্ষোভ মিছিলকে ঘিরে  বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তৎপর ছিল। আন্দোলকারীরা কোনো ধরণের সহিংসতা চালাননি।

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের:
ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠ থেকে তারা মিছিল বের করেন। পরে তারা ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-দিনাজপুর ও ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সাতক্ষীরায় খুলনা রোড মোড়কে আসিফ চত্বর ঘোষণা
শনিবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষাভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের নারকেলতলা মোড় থেকে নিউমার্কেট হয়ে আবারো খুলনা রোড মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তারা কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় নিহত সাতক্ষীরার দেবহাটার আস্কারপুর গ্রামের আসিফ হাসানের নামে খুলনা রোড মোড়কে শহিদ আসিফ চত্বর হিসেবে ঘোষনা দেন।

এদিকে, যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে সাতক্ষীরা শহর জুড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।

ময়মনসিংহে বিক্ষোভ: দেশব্যাপী হত্যা, মামলা, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছেন ময়মনসিংহের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকালে নগরীর টাউন হল মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে তারা মিছিল নিয়ে নতুন বাজার গাঙ্গিনাপাড় এলাকা মোড় হয়ে আবারও টাউন হলে আসেন। এসময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

চাঁদপুরে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ:
চাঁদপুর শহরে সড়ক অবরোধ করে কয়েক’শ শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছেন। এদিকে, যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক ছিলেন।

মুন্সীগঞ্জে উদীচী ও প্রগতি লেখক সংঘের সমাবেশ:
মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে উদীচী শিল্পীগোষ্টী ও প্রগতি লেখক সংঘ সমাবেশ করেছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের সুপার মার্কেট এলাকার সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উদীচী শিল্পীগোষ্টী মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি স.ম কামাল, সাধারণ সম্পাদক আজিজা খাতুন, প্রগতি লেখক সংঘ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মজিব রহমান প্রমুখ।

শেরপুরে দেয়ালে লিখে প্রতিবাদ:
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করেছে শেরপুরের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শেরপুর পৌর শহরের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দেয়ালে চিত্র আঁকেন তারা। এসময় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দেয়ালে বিভিন্ন স্লোগানও লেখেন।

ফেনীতে সড়ক অবরোধ:
আজ দুপুর দেড়টার দিকে শহরের জহিরিয়া মসজিদের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। সেখানেও তারা বিক্ষোভ করেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ:
শনিবার বিকেলে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ১ দফা দাবিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এসময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে। শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

নোয়াখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ে আগুন:
নোয়াখালীত কোটা আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে হামলা হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনের প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। মিছিলের একটি অংশ জেলা শহরের টাউন হল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইট নিক্ষেপ করেন। এরপর আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা কার্যালয়ে থাকা সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা সেখানে কোনো বাঁধা ছাড়া ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করে তান্ডব চালায়। আন্দোনকারীরা চলে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এসে আগুন নেভান।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।