দুলুসহ ১২ জনের রিমান্ড চায় পুলিশ

লেখক:
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ১২ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

 

বুধবার (১৮ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া বাড্ডা থানায় করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন করেন।

আজ বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

 

আরও যাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন-ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, মাকছুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আবির ইসলাম সাত্তার, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে মামুন, শিমুল মিয়া, সোহেল, মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু ও শাহীনূর রহমান।

আবেদনে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রীণ টাওয়ার এর নিচ তলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে মর্মে সংবাদ পায় পুলিশ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছা মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। আক্রমণের ফলে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া, এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ অন্যান্য অফিসারদের কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনাস্থলে তারা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও স্বীকার করে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় সমবেত করে।

 

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দুলুসহ অপর আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুলুকে গুলশানের বাসা থেকে তুলে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।