দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদের মৃত্যু : ক্ষতিপূরণের রায় ২৯ নভেম্বর

:
: ৭ years ago
তারেক মাসুদে

সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি নিয়ে রায়ের এই দিন ঠিক করেন।

আদালতে আবেদনকারী নিহত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও রমজান আলী সিকদার। অন্যদিকে বাস মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার। রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও ইমরান এ সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান সাংবাদিকদের বলেন, তারেক মাসুদের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় ২৯ নভেম্বর এবং মিশুক মনিরের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলায় ৩ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তবে রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্সের পক্ষের আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক বলেছেন, মিশুক মনিরের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা মামলার শুনানি শেষ হয়নি।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মনির। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।

২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। পরবর্তীতে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা।

নিম্ন আদালত থেকে মামলা দুটি স্থানান্তরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে ওই আবেদন দুটি করা হয়। তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ এবং মিশুক মনিরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও তাদের ছেলে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্টে ওই দুটি আবেদন করেন। যার প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন।

রুলে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুটি কেন উচ্চ আদালতে বদলি করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি মামলা দুটির নথি তলব করা হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলা ও মোটর ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে করা মামলা দুটি হাইকোর্টে বদলির আবেদন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠান প্রধান বিচারপতি। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায়ের এ দিন ধার্য করা হলো।