গাইবান্ধা প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যায় কবলিত দুর্গত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষির্ ঋণ নেওয়া কৃষকদের সুদ আদায় বন্ধ থাকবে। দেশে যে কোন দূর্যোগে সরকার মানুষের পাশে থাকবে তাদের সহযোগিতা করবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের চারা বিতরণের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১০ টাকায় চাল দেওয়া, ভিজিডি, ভিজিএফসহ বিভন্ন প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ মেরামতসহ যাদের বই নষ্ট হয়েছে তাদের বই দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। সে অনুযায়ি আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেই আমাদের বসবাস করতে হবে। দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় সরকার সব সময় কাজ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কাজ জনগণের সেবা করা। আর বিএনপি-জামায়াতের কাজ দেশকে ধংস করা। তাই এদের রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করতে হবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়বো। আমরা সেভাবে কাজ করছি।’
গত বছরের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে না এসে তারা ভুল করেছে। এছাড়া নির্বাচনে না এসে বরং সন্ত্রাস-নাশকতার সৃস্টি করেছে। তারা হরতাল-অবরোধের নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু মানুষ তাদের তাণ্ডবে রুখে দাড়িয়েছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। এজন্য আমি সর্বস্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছি।’
পরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার মানুষের মধ্যে মোন্তাজ আলী, হামিদা বেগম, আবদুল হোসেন, আম্বিয়া খাতুন, ছামছুল হক মুন্সি, আবু বক্কর সিদ্দিককের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ৯০ কৃষকের মধ্যে সওকত আলী, তাজুল ইসলাম, সোহরা বেগমের হাতে ধানের চারা তুলে দেন তিনি।এরপর প্রধানমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ হল রুমে সুধি মহল, দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটি ও প্রশাসনোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।