৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
পটুয়াখালীর দুমকীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানে বসেছে মনি আক্তার (১৯) নামে এক প্রেমিকা। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব জলিশা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে এসে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিলেও আজ শুক্রবার পর্যন্ত এখনো তিনি সেখানে রয়েছেন।
প্রেমিকা মনি আক্তার জানান, উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জলিশা গ্রামের জেলে পাড়ার মৃত. ইউনুস হাওলাদার এর পুত্র মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রাব্বি (২৬) গত পাঁচ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাকেরগঞ্জ’র পাদ্রীশিপপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের বড় মেয়ে মনি আক্তারের সাথে মেসেঞ্জার গ্রুপে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে কিছুদিন আগে দুই পরিবারের মাঝে বাড়ি ঘর দেখা দেখিও হয়। পরে রাব্বির মায়ের নাকি আমাকে পচ্ছন্দ হয়নি সে কথা বলে রাব্বি আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করে আমাকে বিয়ে করতে দ্বিমত পোষণ করে এবং পরে ফেসবুক, হট্সআপস ও ফোনে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে মনি রাব্বির গ্রামের বাড়িতে শনিবার বিকেল থেকে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও স্থানীয় মেম্বার মনিকে রাব্বির বাসায় থাকার জন্য দিয়ে আসে। এদিকে বর্তমানে প্রেমিক রাব্বি ঢাকায় অবস্থান করছেন কিন্তু রাব্বির পরিবারও মনিকে মেনে নিচ্ছেন না।
মনি আরো বলেন, আমি রাব্বিকে নিজের জীবনের চাইতেও ভালবাসি আর রাব্বিও আমাকে ভালবাসতো কিন্তু রাব্বির মায়ের আমাকে পচ্ছন্দ না হওয়ায় সে আমাকে মেনে নিচ্ছে না। তবে যতদিন রাব্বি আমাকে বিয়ে না করে ততদিন আমি এখানেই থাকব। আর যদি এখান থেকে যেতেই হয় তবে আমার লাশ যাবে।
রাব্বির মা তাসলিমা বেগম বলেন, মনির সাথে আমার ছেলে রাব্বির সম্পর্ক ছিলো কিন্তু এখন ছেলে জানিয়েছেন তার সাথে মনির আর কোন সম্পর্ক নাই। ছেলে যদি মেনে না নেয় তবে আমি কি করব।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামাল ফরাজি জানান, বিষয়টি ইউএনও স্যার, দুমকি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তবে আগামীকাল সোমবার দুপক্ষকে নিয়ে বসার কথা আছে সেখানে বসেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে ছেলে মেয়ের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন বসে মিমাংসা করলেই ভাল হয়। তারপরও যদি মেয়ে কোন লিখিত অভিযোগ দেয় তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
