গতকাল রোববার সারাদেশে এসএসসির ফল প্রকাশের পর পঞ্চগড়, রংপুর, যশোর, শরীয়তপুর, পাবনা ও সোমবার ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় সব মিলে ৩৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ২৬ জন শিক্ষার্থী এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন, সোমবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফকদনপুর গুলপাড়া গ্রামের সিরাজুলের ইসলামের ছেলে ফারাজুল ইসলাম ও পাবনার ফরিদপুর উপজলার সানাহারা গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে শিমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে।
এর আগে রোববার রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে রোকেয়া, যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরের কৃষ্ণনগর (খালপাড়া) গ্রামের ভ্যানচালক জামালউদ্দিনের মেয়ে শান্তা ইসলাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার ধিরেন্দ্রনাথের মেয়ে বিথী রাণা, শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আনিছ হাওলাদারের মেয়ে নাসরিন, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামের দিনমজুর নূরুজ্জামান ওরফে জাম্বুর মেয়ে নিহত রেখা খাতুন আত্মহত্যা করে।
টাঙ্গাইল, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় টাঙ্গাইলে ৮ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এর মধ্যে এক ছাত্রী মারা গেছে। রোববার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে। নিহত শিমা খাতুন (১৮) পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজলার সানাহারা গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থীদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন ছাত্রী এবং একজন ছাত্র রয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টাকারী শিক্ষার্থীরা হলো, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঢালান শিবপুরের খোরশেদ মিয়ার মেয়ে মিনা আক্তার (১৮), ছেটকিবাড়ি এলাকার হাশমত আলীর মেয়ে হালিমা (১৬), পোড়াবাড়ি এলাকার আজহারুল ইসলামের মেয়ে অন্তরা (১৬) অলোয়া ভবানী এলাকার হযরত আলীর মেয়ে রাখী (১৭), বাসাইল উপজেলার পৌলি গ্রামের নাসিরের ছেলে নাহিদ (১৮), বাসাইল উপজেলার কাউলজানী এলাকার আতাহার আলীর মেয়ে বন্যা আক্তার (১৬) এবং ভুঞাপুর উপজেলার নিকরাইল গ্রামের মোহাম্মদ হামিদুরের মেয়ে মিরা (১৭)।
জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও রোববার এসএসসি পরীক্ষায় ফল প্রকাশ হয়। ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য হওয়ায় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় ৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অন্যদিকে শিমা গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় গণিত বিষয় অকৃতকার্য হয়। এবারও একই বিষয় আবারও সে অকৃতকার্য হয়। এ অবস্থায় ক’দিন যাবৎ তার বাবা অসুস্থ থাকায় তার মা গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন। পরে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিমা ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে তার বড় ভাই আরজু বাড়িতে প্রবেশ করলে ছোট বোনকে ঘরে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। শিমা তার তিন বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্য ছোট। সে তার মাকে নিয়ে বড় ভাই আরজুসহ এখানে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। কাগমারী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আরিফ ফয়সাল আত্মহত্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. সুমন পাল জানান, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে বিষপানে ৬ শিক্ষার্থী এবং সেভলন খেয়ে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ৭ জন পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই হাসপাতালের নীবির পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় লজ্জায় ফারাজুল ইসলাম (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফকদনপুর গুলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফারাজুল ইসলাম ওই গ্রামের সিরাজুলের ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মথুরাপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ফারাজুল ইসলাম। রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর সে পাস করতে পারেনি বলে জানতে পারে। সকালে বাসার লোকজন ফারাজুলকে বকা দেয়ায় দুপুরে নিজ ঘরে ফাঁস দেয় সে। পরে বাসার লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের এসআই সাইফুর ইসলাম জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
রংপুর, গতকাল রোববার , এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর রংপুরে বিষপান ও ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছে। বাকি সাতজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর জেলার বিভিন্ন এলাকার আট শিক্ষার্থী নিজ বাড়িতে বিষপান ও ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে অভিভাবকরা তাদের রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে রোকেয়া মারা যান। নিহত রোকেয়া ওই এলাকার কদমতলী দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।
এছাড়া নগরীর উত্তম বখতিয়ারপুর হাজিরহাট এলাকার শহিদুল ইসলাম মিন্টুর মেয়ে খাদিজা, দেওডোবা ডাঙ্গীরপার এলাকার রইচ উদ্দিনের মেয়ে শারমিন, গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি এলাকার তাইজিরুল ইসলামের মেয়ে তানজিনা, নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার গণেশ রায়ের মেয়ে শিবা রানী, পীরগাছা চৌধুরানী এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে সমাপ্তি, শহরের সেনপাড়া এলাকার অলক রায়ের মেয়ে প্রীতি রায় এবং গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি বালাপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহাবুল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে সমাপ্তি ফাঁস দিয়ে এবং অন্যরা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
রংপুর মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোকলেচুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
যশোর, এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়া যশোর বোর্ডের আট শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এরমধ্যে দুই জন ছাত্র ও ছয়জন ছাত্রী। রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর তারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এদিন বিকেলে ও সন্ধ্যায় তাদের যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীরা হলো, যশোর সদরের তীরের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৫), নিউ টাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরাইয়া পারভীন (১৫), ভাতুড়িয়া গ্রামের ভাতুড়িয়া স্কুলের ছাত্রী মৌমিতা (১৫), নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (১৫), দানবীন হাজী মুহম্মদ মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মনিরা খাতুন (১৭), সুলতানপুর নুরুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী আফসানা খাতুন (১৫), প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মহাসিনা পারভীন (১৫) ও মণিরামপুরের কুয়াদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ইমন হোসেন (১৫)।
এদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইমন, মৌমিতা ও মনিরা খাতুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন তীরের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। সে দুটি বিষয়ে ফেল করায় বাড়িতে থাকা ঘুমের (ট্রিপটিন-৫) দুই পাতা ওষুধ খেয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা ওয়াস করেছে।
হাসপাতালে ভর্তি সুরাইয়া পারভীনের ভাই রেজাউল ইসলাম বলেন, সুরাইয়া ফেল করেছে। ভয়ে স্যাভলন পান করেছে।
অপরদিকে, যশোরের ঝিকরগাছায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় শান্তা ইসলাম (১৭) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার বিকেলে যশোরের ঝিকরগাছা পৌর সদরের কৃষ্ণনগর (খালপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শান্তা ইসলাম ওই গ্রামের ভ্যানচালক জামালউদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, শান্তা ঝিকরগাছা সম্মিলনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর সে পাস করতে পারেনি বলে জানতে পারে। পরে বাড়িতে এসে নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
শান্তার মা পারভীনা বেগম ঝিকরগাছার একটি জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। ছোটবোন তামান্না ইসলামও এ সময় স্কুলে ছিল।
ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ওসি আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
পঞ্চগড় , পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়ায় বিথি রাণী নামে এক শিক্ষার্থী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিথী রাণা দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া এলাকার ধিরেন্দ্রনাথের মেয়ে।
রোববার সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পরই ঘটনাটি ঘটে। সে স্থানীয় কালিগঞ্জ সুকাতু প্রধান উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বিথি। দুপুরে ফলাফল পাওয়ার পর বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে ঘরে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়। টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
শরীয়তপুর , শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় নাসরিন আক্তার (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নাসরিনের মৃত্যু হয়। নাসরিন ওই গ্রামের আনিছ হাওলাদারের মেয়ে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাসরিন স্থানীয় হোসেনিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। রোববার দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর সে পাস করতে পারেনি বলে জানতে পারে। পরে বাড়িতে এসে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজের ঘরে বিষ খায়। খেয়ে যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পটুয়াখালী জেলা, এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় বাউফলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পাঁচ শিক্ষার্থী। রোববার রাতে চারজন ও সোমবার সকালে একজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে।
আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই শিক্ষার্থীরা হলো, মোসা বিথী (১৬), মোসা ইতি (১৬), মোসা মীম (১৬), মোসা জায়েদা (১৫) ও মো. আরিফ (১৮)। এদের মধ্যে চারজন উপজেলার দাশপাড়া ইউপির খেজুরবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং একজন নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আত্মহত্যার চেষ্টা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিথী, ইতি ও আরিফকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পাবনা জেলা , পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় রেখা খাতুন নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেখা খাতুন (১৬) ওই গ্রামের দিনমজুর নূরুজ্জামান ওরফে জাম্বুর মেয়ে। সে পাটুলীপাড়া হাইস্কুল থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় (বাণিজ্য বিভাগ) অংশ নিয়েছিল।
এলাকাবাসী জানান, এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য (ফেল) হওয়ার খবর শুনে রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির সবার অগোচরে ইঁদুর মারা গ্যাস পান করে রেখা। কিছুক্ষণ পর সে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।