দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বুধবার দেশব্যাপী পাঁচটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। এ ছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আসা অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ৬টি দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে অভিযোগ আসে, খুলনা শহরের পশ্চিম টুটপাড়া এলাকায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) অনুমোদিত নকশা সম্পূর্ণরূপে অমান্য করে একটি চারতলা ভবন নির্মিত হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান চলাকালে কেডিএ থেকে নকশা ও অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করে কেডিএর একজন অঙ্কনবিদ ও একজন ইমারত পরিদর্শককে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে দুদক টিম।
দুদক টিম প্রত্যক্ষ করে, কেডিএর নকশার সঙ্গে বিল্ডিং নির্মাণের কোনো মিল নেই; নকশার ১০ শতাংশ কাজও হয়নি মর্মে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। ভবনের চারপাশে সাড়ে ১০ ফুট জায়গা ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছাড়া হয়নি-এমনটি দেখা যায়। এ অনিয়মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা উদঘাটনের জন্য প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সুপারিশপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম।
এদিকে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের পূর্বদিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের রাস্তা মেরামতের কাজে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক।
দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিন অভিযানে ওই মেরামত নিম্নমানের হয়েছে মর্মে দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। অবিলম্বে যথাযথ মান নিশ্চিতপূর্বক মেরামত কাজটি সম্পাদনের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ প্রদান করা হয়।
এ ছাড়াও ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে খাজনা আদায়ে অবৈধভাবে ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে; রেকর্ডরুমের বালাম বই বিনষ্ট করে অর্থের বিনিময়ে অবৈধ সুবিধা প্রদানের অভিযোগে এবং পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডারদের গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা -১, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা থেকে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।
এদিকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে; সাব-ইন্সপেক্টর কর্তৃক দাফতরিক সেবা প্রদানে হয়রানির অভিযোগে; টিএডিএ বিল পাস বাবদ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে; ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ প্রদানে ঘুষ দাবি ও হয়রানির অভিযোগে; পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনে ঘুষ দাবির অভিযোগে এবং গাড়ির জরিমানার টাকা রিসিট ছাড়া আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য যথাক্রমে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, ঢাকা ; পুলিশ সুপার, সিলেট; কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফাইন্যান্স, ঢাকা; বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম; পুলিশ সুপার, কক্সবাজার এবং ডিআইজি, চট্টগ্রাম বরাবর পত্র পাঠিয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।