দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা প্রাণ গেলো তরুণীর

লেখক:
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য কথাবার্তা চলছিল তাসনিম জাহান আইরিনের। আইরিন সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে রাজধানীর বাড্ডার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছিলেন। সঙ্গে তার ছোট বোন নুসরাত জাহান জেরিনও চাকরি করেন। প্রতিদিন দুই বোন এক সাথে অফিস যান। 

 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। মধ্য বাড্ডার প্রগতি সরণিতে রাস্তা পাড় হওয়ার সময় দুই বাস একটির সঙ্গে আরেকটি প্রতিযোগিতা করছিলো। এসময় দুই বাসের মাঝে পড়ে যান তারা । এ সময় একটি বাস আইরিনকে টেনে হিঁচড়ে অনেক সামনে নিয়ে যায় এবং সেখানেই মারা যায়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯ টার দিকে মধ্য বাড্ডার প্রগতি সরণিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাসনিম জাহান আইরিন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই বোন অফিস যাওয়ার জন্য রাস্তা পাড় হচ্ছিলেন। এসময় আকাশ পরিবহনের দুইটি বাস একটির সঙ্গে আরেকটি প্রতিযোগিতা করছিল। এসময় আইরিন দুই বাসের মাঝে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই আইরিন নিহত হন। এ ঘটনায় ছোট বোন নুসরাত জাহান জেরিন ও আরেকজন বাইকার আহত হন। জেরিনকে বাড্ডার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

আইরিনের সহকর্মী ওমর ফারুক বলেন, আজ আমাদের অফিসের একটি বেদনাবিধূর দিন। আমরা আমাদের সহকর্মীকে হারিয়েছি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। দুই বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতায় তাকে আমরা অকালে হারিয়েছি।

বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, দুই বোন একই অফিসে চাকরি করতেন। ঘটনার সময় তারা রাস্তা পাড় হচ্ছিলেন। দুই বেপরোয়া বাসের চাপায় আইরিন নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর নিহতের বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সাইফুল আলম সগীর বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ আকাশ পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ বাস চালক মিলন হোসেন মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।