কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনার পরও দুটি বিমানের চারজন পাইলট জীবিত ও অক্ষত আছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মহেশখালীর পুটিবিলায় প্রথম একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। একই সময় ছোট মহেশখালীতে অপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক মো. নূর ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, চারজন পাইলটকে জীবিত ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে বিমানের কোনো পাইলট আহত না হলেও বিমানের ধসে পড়া অংশে আঘাত পেয়ে আখি (১৫) ও ফয়সাল (১২) নামের দুই শিশু আহত হয়েছে।
মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানিয়েছেন, বিমানটি ওই এলাকার জনৈক আবদুস সাত্তারের বাড়ির ওপরের অংশ উড়িয়ে নিয়ে পাশের ধানক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় দুই শিশু আহত হয়েছে। বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইউএনও আরো জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর কোনো পাইলট রয়েছে কি না এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি জানান, প্রশিক্ষণ বিমান দুটি সম্ভবত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, মহেশখালীর পুটিবিলায় বিমানবাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তিনিও পেয়েছেন। বিমান দুটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
কী কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানাতে পারেননি বিমানবন্দরের ওই কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থল থেকে সাহাব উদ্দিন নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এর একটি অংশ ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে লম্বাঘোনা বাজারের কাছে খসে পড়েছে।
মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুনর রশিদ জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটের সময় মহেশখালী পৌরসভার মাঝামাঝি এলাকায় বিকট শব্দে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি মাঝ আকাশে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। এর একটি অংশ পৌরসভার পুটিবিলা এলাকার ইয়ার মোহাম্মদপাড়ায় এবং বাকি অংশ উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে পড়ে।