দুজনই ক্রিকেটার গড়ার কারিগর। দেশের ক্রিকেটের অনেক তারকা তাদের কাছে হাতেখড়ি নিয়েছেন। ২২ গজে তারা খেলেন না। কিন্তু তাদের ক্রিকেট মস্তিষ্কের ব্যবহারে সাফল্যের সুখে ভাসেন ক্রিকেটাররা। বলা হচ্ছে খালেদ মাহমুদ সুজন ও সালাউদ্দিনের কথা। দুজন এবার মুখোমুখি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে।
খালেদ মাহমুদ ফরচুন বরিশালের কোচ আর সালাউদ্দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দেশের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টে দুজনই সফল। তারা যেন পরশপাথর, যেখানেই হাতে দিয়েছেন সেটাই সোনা হয়ে গেছে। তাদের শিষ্যরা লড়েন ২২ গজে, আর তারা ডাগআউটে কিংবা ড্রেসিংরুমে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বরিশাল-কুমিল্লা। এই ম্যাচের আগে সালাউদ্দিন বলছেন, তাদের লড়তে হবে সুজনের মাথার সঙ্গে। আর সুজনের মতে সালাউদ্দিন অনেক বড় মানের কোচ, ভালো পরিকল্পনা করেন।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘সুজন ভাই বিপিএলে বেশিরভাগ সময় ফাইনালের ডাগআউটে ছিলেন। নিশ্চয়ই তার ভেতর কিছু আছে। তাদের দলটা কিন্তু শুরুতে ওত ভালো হয়নি। তারা খুব ভালোভাবে ফিরেছে। সুজন ভাইয়ের ট্র্যাক রেকর্ডও ভালো। অবশ্যই সুজন ভাইয়ের মাথার সঙ্গেও আমাদের খেলতে হবে।’
অন্যদিকে সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি সালাউদ্দিন বড় মানের কোচ, গুড থিংকার। ভালো কিছু চিন্তা করে ক্রিকেট নিয়ে, ভালো টিম বানায়। খেলার পরিকল্পনা ভালো করে। আমিও চেষ্টা করি সেরকম করতে। কাল সেরা দলটা জিতবে।’
‘সালাউদ্দিন তার মতো পরিকল্পনা করবে। আমি আমার মতো পরিকল্পনা করব। আমরা দুজনই চেষ্টা করি ভালো টিম বানাতে, ভালো ক্রিকেট খেলতে। এটা শুধুই একটা খেলা, কাল যে ভালো খেলবে, যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তারাই জিতবে’- আরো যোগ করেন বরিশালের কোচ।
বিপিএলের আট আসরের মধ্যে চারবারই ফাইনালে খেলেছে সুজনের দল। যদিও শিরোপার স্বাদ পায় একবার। শিরোপা জয়ের বিচারে আবার এগিয়ে সালাউদ্দিন। তার অধীনে দুইবার কুমিল্লা ফাইনালে উঠে দুইবারই শিরোপা জেতে। দেশের এই দুই তারকা কোচের অধীনে শুরু থেকেই ভালো খেলে এসেছে বরিশাল-কুমিল্লা। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে শীর্ষ দুই দল তারা। এবার মুখোমুখি ট্রফির মহারণে।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘যখন বড় খেলা হবে, তখন আসলে আপনি মাথা দিয়ে যত খেলতে পারবেন, ততই আপনি এগিয়ে থাকবেন। তাদের যেমন আছে, আমাদেরও কিন্তু অনেক বড় বড় মাথা দলের ভেতর আছে। এটা আমাদের একটা সুযোগ যে আমাদের টিমে যারা আছে তারাও অনেকে অনেক বড় বড় জায়গায় খেলেছে।’
ট্রফি জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সুজন বলেন, ‘ফাইনাল তো ফাইনালই। এর ওপর তো কোনো কিছু নেই। আমরা কষ্ট করে এই পর্যন্ত এসেছি, ভালো ক্রিকেট খেলেই এখানে। এই পর্যায়ে এসে দ্বিতীয় হওয়ার কোনো মূল্য নেই, সোজা কথা এটাই। ফাইনালে সবারই লক্ষ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার, এক নম্বর হওয়ার। আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
সাকিব-ইমরুল লড়বেন ২২ গজে, সুজন-সালাউদ্দিন ‘মাইন্ড গেম’ খেলবেন বাইরে থেকে। কার টোটকা কাজে লাগবে এই মহারণে?