কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনে মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা আসে। খবর বিবিসির
বৈঠকের পর দুই নেতার যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপে আর কোনও যুদ্ধ হবে না। এছাড়া শান্তিচুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশ বৈঠকে বসবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে কীভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এছাড়া বৈঠকে আরও যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো— দুই দেশের মধ্যে বৈরী কার্যকলাপের সমাপ্তি ঘোষণা, ১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধে যেসব পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল তাদের একত্রিত করা, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেয়া এবং চলতি বছরের এশিয়ান গেমস থেকেই আন্তর্জাতিক খেলাধুলার ইভেন্টগুলোতে দুই কোরিয়ার যৌথ অংশগ্রহণ।
শুক্রবার সকালে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক অঞ্চল পানমুনজমে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকের ঘণ্টাখানেক আগে কিম উত্তরের সীমারেখা পার হন। ১৯৫০-৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধের পর এই প্রথম উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে প্রবেশ করেন।
কিমকে সীমান্তের সামরিক সীমারেখায় স্বাগত জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। এরপর অনার গার্ডের সদস্যরা দুই নেতাকে গার্ড অব অনার দিয়ে নিয়ে যান সীমান্ত গ্রাম পানমুনজমে।
বৈঠকের আগে সীমান্ত ধরে কিছুক্ষণ হাঁটেন কিম জং উন। এসময় প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে হাত মেলান কিম জং। অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন কিম জং। সেখানে তিনি লেখেন— ‘নতুন যুগের শুরু’। এরপর মিডিয়ার সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ কথা বলে রুদ্ধতার বৈঠকে বসেন দুই কোরিয়ার শীর্ষ দুই নেতা।