দুই কনস্টেবলকে থাপ্পড়, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আটক

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এক ট্রাফিক পুলিশকে থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগে গাজীপুর মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩১, ৩২ ও ৩৩ নং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর রুহুন নেছা রুনাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে অবৈধ ভাবে ইউটার্ন নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. শাহাদৎ আলী জানান, কাউন্সিলর রুহুন নেছা শনিবার দুপুরে নিজেই প্রাইভেট কার ড্রাইভিং করে চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় জাগ্রত-চৌরঙ্গীর উত্তর পাশ দিয়ে ডানে ইউটার্ন করতে যান। কিন্তু এসময় ওই এলাকায় মহাসড়কে কাজ চলার কারণে রশি বেঁধে রেশনিং পদ্ধতিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের গাড়ি চলতে দেয়া হচ্ছিল। কাউন্সিলর ওই রশি ঠেলে দিয়ে ডানে তার কার ইউটার্ন নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আশিকুর তাকে পরে যেতে বলেন এবং বাধা দেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে ওই নারী নিজেকে কাউন্সিলর পরিচয় দিয়ে ওই কনস্টেবলের গালে চড় মারেন। ঘটনাটি দেখে অপর কনস্টেবল সেখানে গেলে তাকেও চড় মারেন। পরে সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আরও পুলিশ এসে তাকে আটক করে বসিয়ে রেখে বাসন থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

কাউন্সিলর রুহুন নেছা বলেন, তিনি প্রাইভেটকারযোগে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় ইউটার্ন করতে যান। এসময় পুলিশ তাকে ডান দিকে ইউটার্ন করতে নিষেধ করেন। এসময় তিনি পুলিশকে নিজের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ জানালেও পুলিশ তাকে ওই পথে যেতে দেয়নি। পরে ঘুরে গিয়ে ওই পথের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখতে পান তাকে বাধা দেয়ার পথে এলোমেলোভাবে অন্য গাড়ি যাতায়াত করছে। এসময় কাউন্সিলর রুনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় (তাকে বাধা দেয়ার পথে) অন্য গাড়ি যেতে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। একপর্যায়ে তার বুকের কাছে গিয়ে অশালীন আচরণ করে। তখন তিনি নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলকে চড় মারেন বলে জানান। পরে আরও পুলিশ সদস্য জড়ো হয়ে তাকে আটক করে বাসন থানায় নিয়ে যান।

বাসন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম কাউসার চৌধুরী রুনার সঙ্গে পুলিশের অশালীন আচরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, উনি কর্তব্যরত পুলিশকে চড় মেরেছেন। এরপর তাকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা রয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।