কাওসার খা। বয়স ৫০ এর কোঠায়। পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের চর মিয়াজন গ্রামে তার বসবাস। ২২ বছর আগে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। এরপরে টাকার অভাবে আর চিকিৎসা করাতে পারেনি তিনি। সময় মতো চিকিৎসা না নেয়ার কারণে এখন দিন দিন বড় হচ্ছে তার মুখের ভিতরের টিউমার।
কাওসার খা বলেন, আগে ট্রলারে মাছ ধরতাম। সেই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর থেকেই এই অবস্থা। অভাবের সংসারে স্ত্রী, ২ ছেলে, ২ মেয়ের মুখে তিন বেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে হিমশিম খেতাম। ডাক্তারের কাছে গেলেতো অনেক টাকা লাগবে। তাই টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি নাই। বর্তমানে বেকার। সবাই যার যার মতো আছে, ছোট ছেলেই এখন দেখাশুনা করে। মানুষ আমাকে দেখে ভয় পায়, তাই মুখে গামছা পেচিয়ে হাটি।
চর মিয়াজনের বাসিন্দা মো. লিটন খা বলেন, এলাকার অনেকেই কাওসার ভাইয়ের মুখ দেখলে ভয় পায়। সবাই তাকে দেখলে দূরে সরে থাকে।
শামসুল আলম নামে আরেকজন বলেন, দিন দিন কাওসার ভাইয়ের মুখের ভিতরের টিউমার বড় হচ্ছে। তার ছোট ছেলে ঢাকায় কারিগরির কাজ করে। অল্প টাকা পায়। সে টাকায় তাদের সংসারের খাবারই হয় না। তার মধ্যে কিভাবে তার চিকিৎসা করাবে?
১৫নং চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা বলেন, কাওসার খা অনেক অসহায়। সমাজের বিত্তবানরা সহায়তা করলে তার আর মুখ ডেকে হাটা লাগবে না।