দিতিকে হারানোর দুই বছর

:
: ৬ years ago

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। প্রয়াত এ অভিনেত্রীর মৃত্যুবার্ষিকীতে এফডিসিতে স্মরণসভার আয়োজন করেছে শিল্পী সমিতি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘দিতি আপা আমাদের চলচ্চিত্রের গর্ব। এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, তিনি আমাদের মাঝে নেই। তার শূন্যতা কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়।’

তিনি বলেন, ‘আজ দিতি আপার ২য় মৃত্যুবাষিকী। গভীর ভালবাসায় স্মরণ করছি তাকে। বাদ আসর শিল্পী সমিতিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি সবাই থাকবেন।’

দিতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে পরিবারের পক্ষ থেকেও নানা আয়োজন করা হয়েছে। তাকে স্মরণ করছে তার ভক্ত অনুরাগীরাও।

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে গেল বছর ২০ মার্চ নন্দিত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রসঙ্গত, পারভীন সুলতানা দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই গান ও অভিনয়ের প্রতি দিতির ছিলো দুনির্বার আকর্ষণ।

সেই সূত্রেই ১৯৮৪ সালে নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রে দিতির সম্পৃক্ততা ঘটে। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। কিন্তু ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আমিই ওস্তাদ’। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন আজমল হুদা মিঠু। এরপর দিতি প্রায় দুই শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন।

সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে দিতি আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতেই অভিনয় করে দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দিতি আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে। ব্যক্তি জীবনে তিনি ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক সোহলে চৌধুরী। সেই সংসারে দীপ্ত নামের এক ছেলে ও লামিয়া নামের এক মেয়ে রয়েছে দিতির।