দাম কমেছে চাল-পেঁয়াজের, আরও বেড়েছে ভোজ্যতেলের

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

গত এক সপ্তাহে চালে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং পেঁয়াজে সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমেছে। বিপরীতে আরেক দফা বেড়েছে ভোজ্যতেল বা সয়াবিনের দাম। সেই সঙ্গে বেড়েছে দেশি আদা, এলাচ ও চিনির দাম।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ান বাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে নাজির ও মিনিকেট বা চিকন চালের দাম ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমে কেজিতে ৫৬ থেকে ৬৪ টাকায় নেমে এসেছে, যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৬ টাকা। আর মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে কেজিতে ৫০ থেকে ৫৮ টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল ৫৩ থেকে ৬০ টাকা।

এদিকে, চালের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে কমেছে মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও জিরার দাম। এর মধ্যে সব থেকে বেশি কমেছে আলুর দাম। মানভেদে আলুর কেজি ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। আগে আলুর কেজি ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

অন্যদিকে, গত এক সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ২৫ থেকে ৩৫ টাকা।

দেশি রসুনের দাম ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আমদানি করা রসুনের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এতে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে, যা আগে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা।

এছাড়া জিরার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে, যা আগে ছিল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। আর আমদানি করা আদার দাম ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা।

আমদানি করা আদার দাম কমলেও গত এক সপ্তাহে দেশি আদার দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে টিসিবি। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা দরে, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এদিকে, দফায় দফায় বাড়তে থাকা সয়াবিন তেলের দাম গত এক সপ্তাহে আরও এক দফা বেড়েছে। লুজ সয়াবিন তেলের দাম দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ১০৮ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১০৭ থেকে ১০৯ টাকা। বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

দাম বাড়ার এ তালিকায় থাকা ছোলার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়ে কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। ছোট এলাচ ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। আর চিনির দাম ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে কেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা হয়েছে।