দাকোপ প্রতিনিধিঃ দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডে গত ১২ ই এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে সচেতনতা মুলক কর্মকান্ডে জিয়া মির্জার বাধার মুখে সাংবাদিক, ইউ,পি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ। সারদেশ জুরে ভয়াবহ আতংক। সর্বোচ প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। উপজেলাবাসীদের সচেতন করতে ও ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষের দোরগোড়ায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর মেয়র সহ নয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিয়ে করছেন আলোচনা।
আলোচনা শেষে দিচ্ছেন বিভিন্ন দিক নির্দেশনা। সচেতনতা মুলক দিক নির্দেশনা পালন করতে হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে গ্রামের ছোট ছোট বাজার এলাকায় মাইকিং করছেন ইউ,পি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ চৌকিদার। সংবাদ সংগ্রহ করে ঘরে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জীবন বাজি রেখে সাংবাদিকরাও অংশ গ্রহণ করছেন সচেতনতা মুলক সামাজিক কাজে। করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে প্রশাসন সহ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা যখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে জিয়া মির্জা সচেতনতা মুলক প্রচারে বাধা প্রধান করেন উল্লেখ্য করে বাজুয়া ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য দীনবন্ধু মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, বাজুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারনা শেষ ফেরার পথে ৪ নং ওয়ার্ডের চুনকুড়ি বড় বাড়ির সামনে আবুল মির্জার পুত্র জিয়া মির্জা হাত দিয়ে সিগন্যাল দিলে আমরা দাড়িয়ে যাই।
এসময় উত্তেজিত ভাষায় এরাস্তা দিয়ে আমরা যেন আর না চলি সেই নির্দেশ দেন। সচেতনতা মুলক কর্মকান্ডে চলাচলে কেন বাধা জানতে চাইলে প্রচন্ড উত্তেজিত ভাষা ব্যবহার করেন। মুঠোফোনে কথা হয় দাকোপ রিপোর্টার্স ক্লাব সাধারন সম্পাদক ও বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা পাপ্পু সাহার সাথে তিনি বলেন, আমরা গাড়ি থামাতেই জিয়া মির্জা বলেন আগামীকাল বিকাল পাঁচটার পর থেকে গাড়ি নিয়ে এদিকে আসা যাবে না। প্রশাসন, স্বাস্থ্য কর্মি ও সাংবাদিকরা কেন আসতে পারবেনা জানতে চাইলে উত্তেজিত ভাষায় জিয়া মির্জা বলেন, ত্রই ওয়ার্ডে গাড়ি রেখে সবাইকে হেটে আসতে হবে। এসময় উত্তেজিত ভাষায় বলেন, তোমাদের মত লোকদের প্রচারনা এই ওয়ার্ডে লাগবেনা। বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদ দফাদার হায়দার আলী সরদার মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, দুরথেকে জিয়া মির্জার সিগন্যাল পেয়ে দাড়িয়ে জানতে চাইলাম ১০/১৫ জন লোক দাড়িয়ে কি করছেন উত্তরে জিয়া মির্জা যে ভাষয়া উত্তর দিলেন তা বলতে আমার লজ্জা হয়। এক পর্যায়ে সে বলেন, তোমারা কেন এই ওয়ার্ডে ঢুকতে হলে প্রশাসনকেও পায়ে হেঁটে আসতে হবে। মুঠোফোনে কথা হয় বাজুয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান উৎপল দাশের সাথে তিনি বলেন, এলাকাবাসী সবাই অবগত যে এক সময়ের ভারায় মটর সাইকেল চালক জিয়া মির্জার আজ ব্যাপক পরিবর্তন। তার ব্যবহারে এলাকার অনেকেই অতিষ্ঠ। মুঠোফোনে কথা হয় উক্ত এলাকার অনেকের সাথে তারা বলেন, অবৈধ ড্রেজার দ্বারা বালি উত্তোলন, অন্যের জায়গা দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বালি খেকো জিয়া মির্জার নাম।