প্রবাদ আছে ‘দাঁত থাকতে কেউ দাঁতের মর্ম বুঝে না’। অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি দাঁতের যত্ন নিতে গিয়ে নেটিজেনদের হাসি-ঠাট্টার খোরাক হয়েছেন।
মাহির দাঁতে কিছু জটিলতা ছিল। এ কারণে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ব্রেসেসের (দাঁতের পাটি সামঞ্জস্য করার প্রক্রিয়া) মাধ্যমে নিজের চেহারার শ্রী বাড়িয়েছেন। বর্তমানে বিশ্বের অনেক তারকা কাজটি করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাহির আগের ও বর্তমান রূপের ছবি নিয়ে অনেকে তুলনামূলক পোস্ট করছেন বলে জানান অভিনেত্রী। কেউ হাসি-ঠাট্টা করছেন, কেউ মাতছেন নিন্দায়। সেসব নেটিজেনের উদ্দেশ্যে সরব হলেন তিনিও। তার ভাষ্য, ‘আমি যে ব্রেসেস করেছিলাম, এটা তো সবাই জানে। আমার সব ছবি-ভিডিও সব জায়গায় আছে, সেটা নিয়ে এত কথা বলার কী আছে? সব থেকে বড় কথা হচ্ছে যে, একটা মানুষ যদি বেটার অপরচুনিটিস পায় তাহলে সে সেটা কেন একসেপ্ট করবে না? এটাতে খারাপের কী আছে?’
মাহি মনে করেন, শোবিজে কাজের ক্ষেত্রে তাকে সুশ্রী দেখানো জরুরি।তাছাড়া নিজের আত্মতুষ্টির বিষয় তো রয়েছেই। তিনি বলেন, ‘সবাই চায় মানুষের সামনে নিজেকে ভালোভাবে উপস্থাপন করতে, আমিও সেটাই করেছি।তাছাড়া মানুষ পরিবর্তনশীল।ছোটবেলায় মানুষ নিজের প্রতি অনেক যত্নবান হয় না।তাই অন্যরকম দেখায়।যখন মানুষ বড় হয়, নিজের প্রতি যত্নবান হতে শেখে, তখন তার অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়।তাছাড়া আমি যে সেক্টরে কাজ করি, সেখানে অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেকে ভালো দেখানো খুব জরুরি।আমি যেটাই করেছি, আমার কাজের জন্য করেছি; তাহলে কী প্রবলেম হচ্ছে আমি সেটাই বুঝতে পারছি না।’
যারা অকারণ ট্রল করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে মাহির স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমি তো নিজেকে পরিবর্তন করে আমার জীবনের অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছি, অনেক ভালো করছি আলহামদুলিল্লাহ।এবার আপনারা নিজেদের মানসিকভাবে বদলে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করুন।’
বিতর্ক-সমালোচনা নিয়ে মাহি যে পোস্ট দিয়েছেন ফেসবুকে, তা কিছুক্ষণ পর আবার মুছে দেন।বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে তাকে পাওয়া যায়নি।