শামীম আহমেদ : পটুয়াখালী কর্তৃক সদ্য অনুমোদন কৃত দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জেলা সভাপতি ও সম্পাদক আর্থিক লাভবান হয়ে রাতের অন্ধকারে কতিপয় কুচক্রিমহলের যোগ-সাজসে শান্তি কমিটি চেয়ারম্যানের ছেলে,২জন ফ্রিডম পার্টির নেতা,জামাত-বিএনপি করা সহ ১৯জনকে দলে অন্তভূক্ত করে আওয়ামী লীগের ৭০ বছরের ঐতিহ্যকে ধ্বংশ করা হয়েছে।

তাই তিনি জননেত্রী মানবতার মা ও প্রধান মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিলের আবেদন করে কোন ফলাফল না পেলে আইনের আশ্রয় নেবেন।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের দুরদিনের ত্যাগী কান্ডারী ১৯জনকে নেতাদের বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এম.এ বাসার ডাবলু।

আজ সোমবার (১১ই) অক্টোবর বেলা ১১ টায় শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাত বরিশঅল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসকল অভিযোগ তিনি তুলে ধরেন।

এসময় এম.এ বাসার ডাবলু লিখিত পাঠ করে বলেন,বিগত ২৭ই জুলাই দশমিনা উপজেলার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সংসদ এস.এম শাহজাদার পরামর্শক্রমে দশমিনা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর পাঠানো কমিটিতে আমার নাম সহ-সভাপতি হিসাবে অন্তভূক্ত ছিল।

গত ২৮ই সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়ে উপজেলায় পাঠানো হলে সেই কমিটিতে আমার নামটি নেই।

জেলা সভাপতি ও সম্পাদক রাতের অন্ধকারে দশমিনার কিছু কুচক্রি মহলের সংঙ্গে আতাত করে এই কমিটি প্রেরন করে। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কাজ করেছে বলে তিনি দাবী করেন।

তিনি আরো বলেন নতুন কমিটিতে অন্তভূক্ত করা ১৯জনের মধ্যে ১জন ঢাকায় লোহার ব্যবসায় জড়িত আছেন। ২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে নিজেকে আওয়ামী লীগ হিসাবে ঘোষনা করে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে।

এছাড়া আরো ১৮জনের মধ্যে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ছেলে সহ ফ্রিডম পার্টি,জামাত-বিএনপি করা ব্যাক্তিদেরকে অর্থনৈতিক লাভবান হইয়া আৗয়ামী লীগ কমিটি স্থান করে দিয়ে দলের ৭০ বছরের ঐতিহ্য ধ্বংশ করেছে বলে তিনি মনে করেন।

এছাড়া দলে কাজী আলমগীরের মত একজন দূর্নীতিবাজ লোককে অন্তভূক্ত করে জেলা আওয়ামী লীগ এখন ঘুষ লেিগ পরিনত হয়েছে জেলার সর্বত্র প্রচারনা হচ্ছে।

তাই আমি এই ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য স্থানীয় প্রেস ক্লাব সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি বাতিলের দাবী করে আসছি ।

তিনি আরো বলেন আমি এবার প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় উচ্চ প্রর্যায়ে সকলের কাছে কমিটি বাতিল করার আবেদন করে কোন ফলাফল না পেলে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের রাজ পথের কান্ডারী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে আওয়ামী লীগ থেকে এই সকল দূর্নীতিবাজদের অপসারনের জন্য প্রয়োজনে আদালতের দারস্থ হবেন বলে তিনি ঘোষনা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তার দীর্ঘ দিনে আওয়ামী লীগের উপজেলার সহ- সভাপতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ও দলের হয়ে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি উজ্জল করার বেশ কিছু তথ্য সংবাদ কর্মীদের হাতে তুলে দেন।