দলের বাইরে থেকেও অনেক কিছু শিখেছে সানজামুল

:
: ৬ years ago

সেই মোহাম্মদ রফিকের সময় থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে বাঁ-হাতি স্পিনারদের প্রাধান্য। প্রথমে রফিক আর এনামুল হক মনি কয়েক বছর স্পিন আক্রমণের পুরোধা ছিলেন। এরপরে রফিক, এনামুল জুনিয়র অধ্যায়। প্রথম টেস্ট জয় ওই দুই বাঁ-হাতি স্পিনারের হাত ধরেই। ৎ

সময়ের চাকা ঘুরে রাজ্জাক-সাকিব, সাকিব-মাঞ্জার রানা, ইলিয়াস সানি, আরাফাত সানি এবং জাতীয় দলে বাঁ-হাতি স্পিনারের কোটার সর্বশেষ সংযোজন সানজামুল ইসলাম।

কিন্তু রাজশাহীর এ ২৭ বছরের যুবা নিজেকে খানিক দূর্ভাগা ভাবতেই পারেন। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর একটি মাত্র ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। অথচ এ মুহূর্তে সানজামুল ইসলাম নয়নই জেনুইন বাঁ-হাতি স্পিনার হিসেবে জাতীয় দলে সাকিব আল হাসানের একমাত্র সঙ্গী।

একটি ম্যাচের পর বাদ। ২০১৭ সালের ১৯মে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনজাতি আসরে লাল সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নেমে বল হাতে ২৫ রানে ২ উইকেট দখলের পর আর কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি সানজামুল। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ১১ জনের দলে জায়গা হয়নি।

তার জায়গায় অন্য যে কেউ হলে হতাশায় ডুবে যেতেন; কিন্তু সানজামুল হতাশ নন। তার ধারনা, কন্ডিশনের কারণেই দলে জায়গা পাননি। তাই হতাশা তাকে স্পর্শ করেনি। বরং তার বিশ্বাস, এ সময়ের মধ্যে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। আর সে শেখা বিষয়গুলো কাজে লাগাতে পেরেই দলে আবারও আসা।

তাই মুখে এমন কথা, ‘এটা হতাশা না আসলে। আমি ওখানে একটা ম্যাচ খেলার পর আর সুযোগ পাইনি কন্ডিশনের কারণে। তবে আমি বাইরে বসে থেকে অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করেছি। ওটা অ্যাপ্লাই করে এখন সুযোগ পেয়েছি। এখন যেন আমি ভালো কিছু করতে পারি। দলে এখন যেন নিয়মিত ক্রিকেটার হতে পারি। এটাই আমার টার্গেট।’

প্রথম একাদশে থাকার পাশাপাশি সাকিবের ব্যাকআপ স্পিনার হিসেবে কাজ চালানোর চিন্তায় বিভোর সানজামুল। এবারের তিনজাতি আসরে তার লক্ষ্য একটাই- একাদশে থাকা এবং সেখানে ভালো খেলে দলে নিয়মিত থাকা।

‘সানি ভাই (আরাফাত সানি) ভালো করছিলেন। চাকিংয়ের কারণে অফ হয়েছে। আমার এখন সুযোগ এসেছে। আমি যেন সেরা ইফোর্টটা দিয়ে সাকিব ভাইয়ের পাশে স্পিনার হিসেবে বাংলাদেশ দলে থাকতে পারি।’

মানছেন, এখনো শিখছেন, ‘আগে ট্যাকটিক্যাল প্রবলেম ছিল। ওগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টিভিতে দেখা আর মাঠের খেলা অনেক ভিন্ন। আমি এটা বোঝার চেষ্টা করছি। এগুলো শিখছি। বাকিটা সুযোগ পেলে অ্যাপ্লাই করার চেষ্টা করবো।’

স্পিন কোচ সুনিল যোশি তাকে প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছেন। তা জানিয়ে সানজামুল বলেন, ‘তিনি (যোশি) গাইড করেন। কখন কোন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে বল করতে হবে। কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে বল করতে হবে এগুলো নিয়ে প্রতিনিয়ত তার সাথে কাজ করা হয়। প্রতিদিন অনুশীলনে কাজ করছি।’

বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও নিচে ব্যাট করতে নেমে দলের জন্য কিছু করতে চান। সে উপলব্ধি থেকেই এমন কথা, ‘আমাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলের জন্য কিছু রান করে অবদান রাখতে পারে সেটা চেষ্টা করছি। তাহলে আমরা ফাইট দিতে পারব। আমাদের ব্যাটসম্যানদের একটা শক্তি থাকবে, তারা ফ্রি হয়ে খেলতে পারবে। আমাদের টেল এন্ডাররা রান করে যদি হেল্প করি তাহলে দলের জন্য অনেক ভাল হবে।’