দলবদ্ধ ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়া তরুণীর মরদেহ কৌশলে দাফন করেও পার পায়নি পাঁচ বখাটে। তাদের আটকের পর বেরিয়ে আসে মূল রহস্য।
ঘটনার তিন মাস পর সোমবার আদালতের নির্দেশে জাহেদা বেগম নামে ওই তরুণীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে সীতাকুণ্ডের বাংলাবাজার কালুশাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। জাহেদা বেগম ফেনীর ফুলগাজি থানার দক্ষিণ গাবতলা এলাকার মুখছেদুর রহমানের মেয়ে।
ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা অভিযোগে তার পরিবার ফেনীর ফুলগাজী থানায় মামলা করে। পরে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলো- কুসুমা, সাদ্দাম, খোকন, হেলাল ও বাবুল।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, গত ২৪ মার্চ ফেনীর ফুলগাজি থেকে জাহেদাকে অপহরণ করে সীতাকুণ্ডের বাংলাবাজার এলাকার কালুশাহ মাজার সংলগ্ন পাহাড়ি একটি নির্জন বাড়িতে আটকে রাখে বাবুল, হেলাল ও তার সঙ্গীরা। এ সময় সাদ্দাম, খোকন, হেলাল, বাবুল ও কুসুমা জাহেদাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর জাহেদা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কুসুমার সহযোগিতায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর জাহেদা মারা যায়। এরপর ধর্ষক সাদ্দাম জাহেদাকে নিজের বোন পরিচয় দিয়ে সীতাকুণ্ডের কালু শাহ মাজারের পাশে কবরে তার মরদেহ দাফন করে।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নাল আবেদীন জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে নিহত তরুণীর মরদেহ উত্তোলন করে ফুলগাজি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফুলগাজি থানার ওসি (তদন্ত) পান্না লাল বড়ুয়া বলেন, এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনই ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com