দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সৈকত

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

সাগরের নীল পানিতে ধুয়ে মুছে যাবে জাগতিক পাপ, এমন কামনা নিয়ে মানুষ শুক্রবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুয়াকাটার নীল জলে পুণ্যস্নান করবেন।

পুরো সৈকত জুড়ে এখন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সৈকত।

পঞ্জিকা মতে, ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টা এক মিনিটে পূর্ণিমা শুরু হয়। আর পূর্ণিমা চলবে শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত। এই তিথিতে পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার সাথে সাথে কুয়াকাটা পূণ্যস্নান শেষ করবেন পুণ্যার্থীরা।

স্থানীয়রা জানায়, কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথির এই লগ্নে কুয়াকাটা সৈকতে হাজারো পুর্ণ্যার্থী গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে রাস পূর্ণিমা উৎসব ও গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়। ভোরের সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাগর তীরে পুণ্যস্নান সম্পন্ন করে পুণ্যার্থীরা।

এরপর দল বেঁধে কলাপাড়া পৌর শহরে অবস্থিত শ্রী শ্রী মদন মোহন সেবাশ্রম আঙিনায় ১৭ জোরা রাধা কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন ও মেলায় মিলিত হবে ওইসব পুণ্যার্থীরা।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়কের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, শুক্রবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুয়াকাটার পুণ্যস্নান করবে পুণ্যার্থীরা। এলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাধু-সন্ন্যাসী, পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা জমায়েত হয় সৈকতে।

মহিপুর থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, কয়াকাটায় গঙ্গাস্নানকে ঘিরে পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, মন্দির ও প্রধান প্রধান সড়কে টহল জোড়দার করা হয়েছে। এছাড়া পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে।