অনলাইন ডেস্ক :: জন্মের প্রায় ৪ বছর পর মা-বাবা পেল শিশু সিয়াম। একই সঙ্গে ২৭ বছরের শূন্যতা পূরণ হলো পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাদুরতলী গ্রামের মহাসিনা বেগম ও মো. শহিদুল ইসলাম দম্পতির।
আদালতের আদেশের পর শিশু সিয়ামের লালন-পালনের দায়িত্ব পেয়ে তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটলো।
বুধবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় বেবি হোম থেকে শিশু সিয়াম আবদুল্লাহকে ওই দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সিয়াম আবদুল্লাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসিনা বেগম ও মো. শহিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক একেএম আকতারুজ্জামান মামুন, সমাজ সেবা অধিদফতরের প্রবেশন কর্মকর্তা শ্যামল সেন গুপ্ত, মো. সাজ্জাদ পারভেজ, বরিশাল সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাকির আহাম্মেদ, বরিশাল সেফ হোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় অবস্থিত বিভাগীয় বেবি হোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ জানান, ২০১৫ সালের ১৭ মে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভুয়া ঠিকানা লিখে বাবা-মায়ের ফেলে যাওয়া ১৩ দিনের নবজাতকের আশ্রয় হয় বরিশালের বিভাগীয় বেবি হোমে। সেখানে ওই শিশুর নাম রাখা হয় সিয়াম আবদুল্লাহ। বেবি হোমে বেড়ে ওঠা শিশু সিয়ামের বয়স বর্তমানে প্রায় ৪ বছর। সিয়ামকে সন্তান হিসেবে পেতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে আবেদন করেন পটুয়াখালীর নিঃসন্তান দম্পতি আশা এনজিওর কলাপাড়া শাখার ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মহাসিনা বেগম।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিয়ামকে লালন-পালনের জন্য নিঃসন্তান দম্পতির কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে বুধবার দুপুরে ওই দম্পতি বরিশাল বিভাগীয় বেবি হোমে সিয়াম আবদুল্লাহকে নিতে আসেন। পরে সিয়ামকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।