॥ দন্ডপ্রাপ্তে কারাদণ্ডে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বিসিসি’র এক কর্মচারীর মামলার নথিপত্র অবশেষে প্রশাসনিক দপ্তরে। গতবছর ১২ ডিসেম্বর ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ডে দন্ডিত হয়ে জেলহাজত বাস কারী আসামী তানভীর আহমেদ রানা ছলচাতুরী করে মামলার নথিপত্র ও তথ্য গোপন করলেও অবশেষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
বিসিসি’র নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত সূত্রের প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি’র) হিসাম কাম বাজেট শাখার অডিটর পদে থাকা স্থায়ী কর্মচারী তানভীর আহমেদ রানা’র সাঁজা হওয়া এবং মামলার নথিপত্র গত ১৩ ই জানুয়ারিতে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃইসরাইল হোসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন কে চাকুরির বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় বিভাগের বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরী বিধানের গেজেট আইন অনুযায়ী কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের হলে তাকে মামলার চূড়ান্ত রায় পাবার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত এবং মামলায় আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে বাংলাদেশ গেজেট আইন মোতাবেক চাকুরীচ্যুত করার নিয়ম রয়েছে।
আর এদিকে সাবেক প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের আমলে হিসাব রক্ষন কাম বাজেট শাখায় অডিটর পদে নিয়োগ প্রাপ্ত বরিশাল নগরীর ভাটিখানা ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃতঃ জামাল উদ্দীনের ছেলে তানভীর আহমেদ রানাকে ১২ই ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় হোটেল এরিনায় অবৈধভাবে মদ্যপান করার অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৭(সাত)দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৩ (তিন) দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল এর আদালতের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,মোঃ আতাউর রাব্বী। যাহার মিস কেস নং ৩২/২০১৯, এর তানভীর আহমেদ রানা ৬৩ জন আসামীদের মধ্যে ৪৯ নং আসামী। সূত্রমতে, গতবছরের ১২ ডিসেম্বর রাতে তাদের কারাদন্ড প্রদান করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
বিসিসি’র কর্মচারী রানার স্বজনরা দায়িত্বরতদের সাথে গোপন আতাত করে তার শারীরিক অসুস্থতার কারনে প্রথমে সাত দিনের জন্য ছুটি চেয়ে আবেদন করলেও দুদিনের মধ্যে জামিনে ছাড়া পাওয়ায় ছুটি বাতিল করে অফিস করা শুরু করে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী এ বিষয়টি গোপন রাখে যাতে মামলার নথিপত্র বিসিসি কর্তৃপক্ষের নিকট না পৌছায়।
এদিকে রানা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন শাখার সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় প্রশাসনের বেশ কয়েকজন তাকে চিনতে পারে আর সেই সূত্র ধরেই গোটা নগর ভবনের সকল কর্তব্যরতদের কানে পৌছায় মদপ্য অবস্থায় আটক হওয়া রানার জেল জরিমানা করার ঘটনা।তবে প্রায় একমাস বাদে রানার কারাদণ্ডাদেশের রায়ের মামলার কপি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে পৌছালে তিনি প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রশাসনিক দপ্তরকে।চাকুরির বিধান অনুযায়ী কারাদণ্ডে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে চাকুরীচ্যুত করার বিধান রয়েছে। আর তথ্য গোপন করার জন্য সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও সিদ্ধান্ত নিতে পারে কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃইসরাইল হোসেন জানায়, এ ধরনের একটি মামলার নথিপত্র তার হাতে এসে পৌঁছেছে তিনি প্রশাসনিক দপ্তরে চাকুরির বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।