দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৭ জেলায় ৫৫ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাস মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় কমিটি ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এর আগে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রশাসনের সঙ্গে বাস মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাস মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় কমিটি বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতিসহ ৫ জনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদান এবং জেলা সড়ক ও মহাসড়কে সবধরনে থ্রি-হুইলার-ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের দাবিসহ ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।
প্রশাসন সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে তারা ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ফের লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বাস মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় কমিটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন শিপন, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মাহাবুবল হক দুলাল, বরগুনা বাস মালিক সমিতির ছগির হোসেন, পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির প্রফেসর মো. আজাদ হোসেন, বরিশাল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, ঝালকাঠির শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, বরগুনা শ্রমিক ইউনিয়নের সাহাবুদ্দিন সাবু, পটুয়াখালীর শ্রমিক ইউনিয়নের মাহাবুব আলম রনি প্রমুখ।
বিভাগীয় বাস মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, তিন দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস ও পবিত্র হজ, ঈদুল আজহা ও শোকের মাস বিবেচনা করে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি এলাকায় বাসে চাঁদাবাজির খবর পেয়ে মালিক সমিতির সভাপতিসহ ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে চাঁদাবাজদের হামলায় সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম খোকনসহ ৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে বন্দর থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরদিন বুধবার (৯ আগস্ট) রূপাতলী টার্মিনালে মালিক সমিতি কার্যালয়ে বিভাগের জেলা বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের যৌথসভায় পুলিশের কাছ থেকে আইনি সহায়তা না পাওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
একই সঙ্গে ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সড়ক-মহাসড়কে সবধরনের থ্রি-হুইলারসহ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় কমিটি।