ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অলোক ভার্মাকে বরখাস্ত করার বিরোধিতায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে কংগ্রেস।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরের সামনেও বিক্ষোভ করেন কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। দিল্লির দয়াল সিং কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পরে দিল্লির লোধি রোড পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজেকে গ্রেফতার করতে বলেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমাকে বারবার গ্রেফতার করেও সত্য ধামাচাপা দিতে পারবে না সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি সত্য থেকে দূরে সরে যেতে পারবেন, কিন্তু সত্য ধামাচাপা দিতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির কর্ম জেনে ফেলেছে ভারতের মানুষ। সিবিআই প্রধানকে পরিবর্তন করেও কাজ হবে না।’
ফ্রান্স থেকে রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনা ও মোদি সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কিছু দিন ধরেই সরব বিরোধী দল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে ভারতের সামান্য মাংস ব্যবসায়ী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে ওঠা মইন আখতারি কুরেশির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্তে নামে সিবিআই। সেখান থেকেই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা ও রাকেশ আস্থানার দ্বন্দ্ব শুরু।
অলোক ভার্মা ও রাকেশ আস্থানা দু’জনই প্রভাবশালী। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অবসর নেওয়ার কথা ভার্মার। স্বাভাবিকভাবে পরবর্তী ডিরেক্টর হতেন আস্থানা। দ্বন্দ্বের জেরে আস্থানার বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন ভার্মা। অভিযোগ করেন, কুরেশির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আরেক ব্যবসায়ী সানার থেকে ৩ কোটি টাকা নিয়েছেন আস্থানা। আস্থানাও পাল্টা অভিযোগ করেন, সানার থেকে ২ কোটি টাকা নিয়ে দুর্নীতি মামলা মেটাতে চেয়েছিলেন ভার্মাই। এরপর আস্থানার আস্থাভাজন এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার গভীর রাতে সরিয়ে দেওয়া হয় ভার্মা ও আস্থানাকে। অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন নাগেশ্বর রাও। এতেই ক্ষেপেছে কংগ্রেসসহ কয়েকটি দল।