আগেরদিন আর্জেন্টিনাকে থমকে দিয়েছিল পুঁচকে আইসল্যান্ড। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছে মেক্সিকো। স্বাভাবিকভাবেই আরেক ফেবারিট ব্রাজিলের ওপর ভিষন চাপ তৈরি হয়েছিল। সুইজারল্যান্ডের কাছে না আবার আরও এক ফেবারিটের পতন ঘটে যায়!
শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। ইউরোপের শক্তি সুইজারল্যান্ডের কাছে থমকে যেতে হলো আরেক ফেবারিট ব্রাজিলকে। ১-১ গোলে ড্র করে নেইমার-কৌতিনহোদের জিততে দিল না সুইসরা।
প্রথমার্ধে কৌতিনহোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোল শোধ করে দেয় সুইজারল্যান্ড। পরের ৪০ মিনিট আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলা হয়েছে। কিন্তু গোল বের করতে পারেনি ব্রাজিল কিংবা সুইজারল্যান্ডের কেউই।
খেলার ২০ মিটেই অসাধারণ এক গোল করলেন বার্সা তারকা কৌতিনহো। জাগিয়ে তোলেন রোস্ত অন-ডনের দর্শকদের। ডান পায়ের অসাধারণ এক শট করে
প্রথমে লেফট উইং থেকে বল নিয়ে ওয়ান টু ওয়ান এগিয়ে এলেন নেইমার এবং মার্সেলো। বক্সের ভেতর থেকে মার্সেলোকে পাস দেন নেইমার। বক্সের বাম পাশ থেকে শট নেন মার্সেলো। বলটি গোলের সামনে থেকে ফিরে আসে। পেয়ে যান কৌতিনহো। বক্সের একেবারে মুখ থেকে তার ডান পায়ের বুলেট গতির শট সুইজারল্যান্ডের জাল এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমার কোনো সুযোগই ফেলেন না বলটি ঠেকানোর। ব্রাজিল ১ : ০ সুইজারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর গোল শোধ করতে মরিয়া সুইজারল্যান্ড। ব্রাজিলের সঙ্গে পাল্টা আক্রমণেও উঠে আসছিল তারা। শেষ পর্যন্ত খেলার ৫০তম মিনিটে গিয়ে অসাধারণ এক হেডে সুইসদের সমতায় ফেরান স্টিভেন জুবের। জাদরান শাকিরি কর্ণার থেকে অসাধারণ কিক নেন। গোলমুখে একেবারে অরক্ষিত ছিলেন জুবের। মিরান্দা সামনে থাকলেও জুবের যে পেছনে যে ফাঁকায় থাকবেন কেউ সেটা ভাবতেই পারেননি তিনি। সুতরাং, দারুণ এক হেডে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। ব্রাজিল ১ : ১ সুইজারল্যান্ড।
এর আগে ১১ মিনিটেই অসাধারণ এক সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সুযোগটা তৈরি করেছিলেন নেইমার। বাম পাশ থেকে কয়েকজনকে কাটিয়ে তিনি বলটা ঠেলে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলমুখে। সেখানে ছিলেন পওলিনহো। সামনে গোলরক্ষক এবং পাশে একজন ডিফেন্ডার। ভালোবাবে শটটা নিতে পারলেই গোল। কিন্তু ঠিকভাবে শটটাই নিতে পারলেন না তিনি। ডান কোন ঘেঁষে বলটা চলে যায় বাইরে।
১৪ মিনিটেই নেইমারকে ডি বক্সের সামনে কঠিন ট্যাকল করে বসেন বেহরামি। বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে নেইমারের পায়ের সঙ্গে পেঁছিয়ে তাকে ফেলে দেন। ৩১তম মিনিটে পেছন থেকে নেইমারকে আঘাত করেন সুইজারল্যান্ডের অধিনায়ক লিচস্টেইনার। ফলে হলুদ কাড দেখতে হয় তাকে।
এরপরও নেইমারকে হার্ড ট্যাকল করা বন্ধ হয়নি। বরং, পিএসজি তারকাকে শারীরিক আঘাত করে করে হলুদ কার্ড দেখেন আরও দুইজন। ৬৫ মিনিটে ফ্যাবিয়ান স্কারের পর ৬৮ মিনিটে হলুদ কার্ড দেভেন ভ্যালন বেহরামি।
শেষ দিকে ফার্নান্দিনহো, রেনাতো আগুস্তো এবং রবার্তো ফিরমিনোকে নামিয়েও গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। বরং ৮৮ মিনিটে দারুণ এক হেড করেও গোলের দেখা পেলেন না নেইমার। গোলরক্ষক সোমের ঠেকিয়ে দেন সেটা। ৯০ মিনিটে নেইমারের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ফিরমিনো দারুণ হেড করলেও গোলরক্ষক সোমার সেটি ফিরিয়ে দেন।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com