ত্রি-দেশীয় সিরিজে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসছে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা। সিরিজ শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি। ফাইনাল ম্যাচ ২৭ জানুয়ারি। সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে আসবে ১০ জানুয়ারি। এর তিন দিন পর আসবে লঙ্কানরা। উপমহাদেশের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আগেই আসছে জিম্বাবুয়ে। কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ে দল শ্রীলঙ্কা এসেছিল। স্বাগতিকদের হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুইয়ানরা। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবার ত্রি-দেশীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে আফ্রিকান দলটি। এই সিরিজে ফেবারিটের তকমা গায়ে মেখেই খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সব শেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ওয়ানডে সিরিজে ড্র করেছে টাইগাররা। আর জিম্বাবুয়েকে তো হোয়াইটওয়াশ করেছেন মাশরাফিরা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ এখন অপ্রতিরোধ্য এক দল। যেকোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য রয়েছে মাশরাফিদের। তা ছাড়া দুই প্রতিপক্ষই এখন র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের নিচে। এরআগে কখনো টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোকে নিয়ে খেলা ত্রি-দেশীয় কোনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে এবার মাশরাফিদের সামনে দারুণ একটা সুযোগ এসেছে। একে তো এই মুহূর্তে এগিয়ে বাংলাদেশ তার ওপর খেলা হবে ঘরের মাঠে। সব কিছু মিলেই এগিয়ে টাইগাররা।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বলতা হচ্ছে, এই সিরিজে বাংলাদেশ দলে নেই কোনো কোচ। অন্যদিকে টাইগারদের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাতুরাসিংহে শ্রীলঙ্কার হয়ে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। এটিই তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। মাশরাফি শক্তিমত্ত্বা ও দুর্বলতা সব কিছু তার জানা। তাই লঙ্কানদের বিরুদ্ধে জয় পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
তবে এটাও ঠিক যে, পেশাদার ক্রিকেটাররা খুব ভালো করেই জানেন কখন কি করতে হবে। কোচ ছাড়াও ভালো করা যায়। তার বড় উদাহরণ ভারত। বেশ কিছুদিন প্রধান কোচ ছাড়াই খেলেছে ভালো। বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছেও। তাই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা এখন ফর্মেই রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে জাতীয় দলের তারকারা ভালো খেলেছেন। বিপিএলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতিটাও দারুণ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে বিপিএলের প্রস্তুতিটা কাজে লাগতে পারে।
বিপিএলে দারুণ ব্যাটিং করেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসান তো সেরা উইকেট শিকারি হয়েছেন। ব্যাট হাতেও দাপট দেখিয়েছেন এই তারকা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও দেখিয়েছেন তাদের ব্যাটের দাপট। আর অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি তো রংপুর রাইডার্স শিরোপাই এনে দিয়েছেন।
শুধু সিনিয়র ক্রিকেটাররা নন, জাতীয় তরুণ ক্রিকেটাররাও বিপিএলে দাপট দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তি হচ্ছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরি থেকে ফিরেছেন। এছাড়া দুই পেসার রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ দারুণ বোলিং করেছেন। এখন জাতীয় দলের হয়ে পারফর্ম করার জন্য তারা মুখিয়ে রয়েছেন। তাই ত্রি-দেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সিরিজে তিন দল একে অপরের বিরুদ্ধে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। তারপর পয়েন্ট পাওয়া দুই দল ফাইনালে অংশ নেবে।