ত্রিশালের এমপি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

:
: ৪ years ago

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ- ৭ ত্রিশাল আসনের এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এবং তার পুত্র ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়োগ বাণিজ্য, পুলিশে নিয়োগের নামে অর্থ আত্বসাত , অনিয়ম ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে ।

সোমবার বেলা ১২ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী উন্নয়ন সংস্থা ও ময়মনসিংহের সচেতন মহলের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয় ।

নারী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও সঞ্চালনা করেন, নারী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মীনা খাতুন । অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিজাম উদ্দিন,আলেয়া বেগম,নারী নেত্রী বিলকিছ,সুলতানা আকতার,সাবিনা সুলতানা,মিনা বেগম,জহিরুল ইসলাম প্রমুখ ।

মানববন্ধনে নারী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি নাজমা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, ময়মনসিংহ- ৭ ত্রিশাল আসনের এমপি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানীর সহযোগী তোফাজ্জল হোসেন ত্রিশালের বাসিন্দা আবুল কালামের নিকট থেকে ২০১৯ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে তার পুত্র শাকিলকে নিয়োগ দেয়ার নামে ১৪ লাখ টাকা নেয় । দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও শাকিলকে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হয়নি টাকাও ফিরিয়ে দেয়া হয়নি । এঘটনায় আবুল কালাম বাদী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইজিপি, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরাবর অভিযোগ করেছেন ।

নারী উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মীনা খাতুন তার বক্তব্যে বলেন, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী এমপি হওয়ার পর থেকে ত্রিশালের সর্বত্র মাদকে সয়লাব । এমপির পুত্র ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ ও তার দুইজন দলীয় সহযোগী ও বন্ধু মাদকসহ পুলিশের হাতে আটক হয় । তন্মধ্যে একজন ঢাকায় ডিবির হাতে আটক । এই আটক এমপি পুত্রের বন্ধু মঠবাড়িয়া ছাত্রলীগের সভাপতি । মাদকদের ঘটনায় হাসান মাহমুদ কৌশলে পালিয়ে যায় ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ত্রিশালে স্কুল মাদ্রাসায় নৈশ প্রহরী ও আয়া নিয়োগে একক আধিপাত্য বিস্তার করে এমপি প্রত্যেকের নিকট থেকে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন । এসংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না ।

নিজাম উদ্দিন বলেন, এমপি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী নাকি মন্ত্রী হচ্ছেন । তিনি মন্ত্রী হলে প্রতিপক্ষ সকলকে শায়েস্তা করবেন । নিজাম উদ্দিন হাসান মাহমুদকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন । বলেন, হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানীর সম্পদ বেড়েছে । এমপি হওয়ার আগে যা ছিল আজ তা বেড়ে ১০ গুণ হয়েছে । সবই করেছেন দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য ও আত্বসাত করে । সৌদী আরবে পড়া লেখার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী সেদেশে টাকা পাচার মানি লন্ডারিংয়েও জড়িত । দুদক তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে । নেতৃবৃন্দ যথাযথ কর্তৃপক্ষ এমপি ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে সকল ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ।