খুলনা নগরীর সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির লটারিতে এক শিক্ষার্থীর নাম এসেছে পৃথক নয়টি জায়গায়। এতে স্কুলটিতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে কোমলমতি ৮ শিশু। ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে অভিভাবক মহলে।
এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ভর্তি কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) সোমবার এই ভর্তি লটারির ফলাফল প্রকাশিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রভাতী (প্রাতঃ) শাখায় ৮বার ও দিবা শাখায় একবার নাম এসেছে শিশুটির। নাম ও মোবাইল নম্বরে রয়েছে ভিন্নতা। তিন নামে অনিন্দিতা সরদার আশি, অঙ্কিতা সরদার নির্জা ও অঙ্কিতা সরদার নীতি নামে ভর্তির আবেদন করা হয়। এতে ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি পৃথক মোবাইল নম্বর ও পৃথক পৃথক জন্ম নিবন্ধনও। তবে পিতা অনিরুদ্ধ সরদার ও মাতা নিপা রায়ের নাম সবস্থানে একই রয়েছে। প্রাতঃ শাখায় ১৯, ৩২, ৩৭, ৮১, ৮২, ৯০ ও ১০৮ এবং দিবা শাখায় ২৫ নম্বর ক্রমিকে এসেছে একই ছবির এই শিশুর ভর্তির সুযোগের বার্তাটি।
তবে এসব বিষয়ে স্কুলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি সরকারি করোনেশন বালিকা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের।
ভর্তি কমিটির সভাপতি ও নবাগত জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, লটারির কার্যক্রম ঢাকাতে পরিচালিত হয়েছে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শূন্য স্থানে অবশ্যই বঞ্চিত শিশুদের মধ্য থেকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
চতুরতার আশ্রয় নিয়ে একই শিশুর নামে অনেকবার ভর্তির আবেদন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯বার তার নাম এসেছে লটারিতে-এমনটি অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে জানতে আবেদনে ব্যবহৃত মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও কেউ তা রিসিভ করেননি।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com