তুরস্কে হয়ে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিখোঁজ দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থী নূর আলমকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া, তার সঙ্গী গোলাম সাইদ রিংকুকেও আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পৃথক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূর-আলম ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তুরস্ক সময় সোমবার সন্ধ্যার দিকে নূর আলমকে উদ্ধার করা হয় জানিয়ে কনসাল জেনারেল বলেন, নূর আলমের সঙ্গে আমার আজ সকালেও কথা হয়েছে। সে ভালো আছে।
অন্যদিকে, প্রতিমন্ত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক বার্তায় জানান, তুরস্কে গোলাম সাঈদ রিংকুকে ভবনের নিচে চাপা পড়া অবস্থা থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। সে শারীরিকভাবে প্রচণ্ড দুর্বল, তার জন্য দোয়া করবেন। তুরস্ককে তাদের উদ্ধার তৎপরতার দক্ষতার জন্য কৃতজ্ঞতা।
রিংকুর বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইলের দেওনাই গ্রামে। তিনি গোলাম রব্বানীর ছেলে। রিংকু বগুড়া শহর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান। সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরি করেন। তিনি তুরস্কের আঙ্কারায় বসবাস করতেন।
এদিকে, বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল আরও জানান, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়ে যাওয়া অঞ্চলে প্রায় ৫০ জনের মতো বাংলাদেশি বসবাস করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন সেখানে ব্যবসা করেন। আবার অনেকে এনজিওতে চাকরি করেন। আমরা এখনও কোনও হতাহতের খবর পাইনি। এছাড়া সাত জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভূমিকম্প বিধ্বস্ত গাজিয়ানতেপ অঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে দেশটিতে মোট কত জন বাংলাদেশি বসবাস করেন বা নিখোঁজ রয়েছেন, তা এখনও দূতাবাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে প্রাণঘাতী ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। এতে বিপুল হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। দুই দেশে মৃত মানুষের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।