তিন ব্যক্তির খাল দখলে দুর্ভোগে শতাধিক পরিবার

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

সরকারি খালের ওপর বসতঘর নির্মাণ করে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে তিনটি পরিবারের বিরুদ্ধে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয় পুরো এলাকা। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় ১০ বছর ধরে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌর শহরের সবুজ গ্রামের শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, দশ বছর পূর্বে পৌর শহরের বাণী সিনেমা হল এলাকায় অভিযুক্ত তিন পরিবার সেন্ট্রাল খালের ১৪ শতাংশ জমির ওপর ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। ফলে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য বর্ষাসহ যেকোন মৌসুমে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেই দখলদাররা মামলা-হামলার হুমকি দেয়। তবে খালটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে ওই তিন পরিবারসহ কয়েকজনের মামলা বিচারাধীন। কয়েক মাস আগে একটি মামলায় সরকারের পক্ষে রায় হয়। পরবর্তীতে রায়ের বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা আপিল করেন। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খালটি খনন ও দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের বাণী সিনেমা হলের পশ্চিম পাশে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেন্ট্রাল খালের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয়দের দখলে প্রায় ১৪ শতাংশ জমি সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। যেখানে বসতঘর, দোকান ও বাগান রয়েছে। দোকান ও বসতঘরের পরেই খাল দেখা যায়। তবে খনন না করা আর দখলের কারণে খালটি মৃতে রূপ নিচ্ছে।

ভূক্তভোগী আবদুল হক বলেন, খাল ভরাট করে আবদুর রব, আলাউদ্দিন ও মফিজুল ইসলামরা বসতঘর নির্মাণ করেছে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়।

বৃদ্ধ শামছুদ্দিন বলেন, বার বছর আগেও খালে পানি প্রবাহ ছিল। জোরপূর্বক খাল দখলের কারণে পুরো এলাকার মানুষ ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ময়লা পানিতে এলাকা প্লাবিতও হয়। এ কারণে আমাদের চলাচলসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের ছেলে জাবেদ হোসেন ও আবদুর রব জানান, তাদের বসতঘরের কিছু অংশ জমি সরকারি খালের উপর রয়েছে, তবে পুরোটা নয়। সরকার খাল খননের উদ্যোগ নিলেই জমি ছেড়ে দিবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে রামগতি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, খাল দখল নিয়ে মামলা চলছে। এর দলিলাদি পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া পাশেই সরকারি ১০ শতাংশ জমিতে অনুপ্রবেশ নিষেধ করে নির্দেশনা ঝুলানো রয়েছে।