তিন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের নির্দেশ

:
: ৪ years ago
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এক মাসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পাঠদান চলছে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’ ও ‘ভালো’ লিখে মূল্যায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ তিন ক্যাটাগরি নির্ধারণের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা নানাভাবে পাঠদান করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া, গ্রহণ করা, মূল্যায়ন করা এবং শিক্ষার্থীদের পুনরায় সেই মূল্যায়িত অ্যাসাইনমেন্টটি দেখিয়ে তা স্কুলে সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এতে শিক্ষার্থীরা তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারবে এবং ভবিষ্যতে শিক্ষকরা অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর খাতায় শিক্ষকরা ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’, বা ‘অগ্রগতি প্রয়োজন’ লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থী সম্পর্কে যথাযথ মূল্যায়ন করা যাবে। এটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমবে, তারা সুক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে, পরীক্ষাভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।