তাসকিনের তোপে ২২ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ

:
: ১ বছর আগে

বাংলাদেশ: ২০৭/৫ (১৯.২ ওভার) 

আয়ারল্যান্ড: ৮১/৪ (৮) 

 

ফল: বাংলাদেশ ২২ রানে জয়ী। 

১০৪ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে আয়ারল্যান্ড। তবে তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত তারা ৫ উইকেটে ৮১ রানে থামে। বৃষ্টি আইনে ২২ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেলো লাল সবুজের দল। আইরিশদের হয়ে ১৪ বলে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন ডিলানি। এ ছাড়া টেক্টর, স্টার্লিং ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তাসকিন ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একাই নেন ৪ উইকেট। ১টি উইকেট নেন হাসান।

উইকেট হারালেও আইরিশদের বিধ্বংসী ব্যাটিং

 

৮ ওভারে লক্ষ্য ১০৪। আইরিশদের সামনে ধরে খেলার কিছু নেই। সেই হিসেবে তারা প্রথম ওভার থেকেই মেরে খেলছেন। দুই ওভারে ৩২ রান নেওয়ার পর হাসান-তাসকিন চার উইকেট নিয়ে লাগাম টেনে ধরেন। তাসকিন এক ওভারে ৩ উইকেট নেন। পঞ্চম ওভারে আবার হাসান ১৬ রান দিয়ে দেন। ৫ ওভারে তারা ৬০ রান নিয়ে নেয়। ৬ষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসান মাত্র ৫ রান দিয়ে আবার চেপে ধরেন। ২ ওভারে আইরিশদের প্রয়োজন ৩৯ রান।

এক ওভারে তাসকিনের ৩ উইকেট

প্রথম দুই ওভারে ৩২ রান নিয়ে চোখ রাঙানি দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে হাসান এসে অ্যাডায়ারকে বোল্ড করে লাগাম টেনে ধরেন। ১৩ রানে ফেরেন অ্যাডেয়ার। পরের ওভারে তাসকিন এসেই বোল্ড করেন লরকান টকারকে। দুই বল ডট দিয়ে তাসকিন এবার নেন পরপর দুই উইকেট। ৮ বলে ১৭ রান করা স্টার্লিংকে বোল্ড করার পর ফেরান ডকরেলকে। হ্যাটট্রিক বলে অবশ্য চার মারেন ডিলানি। তাসকিন এক ওভারে নেন তিন উইকেট।

বৃষ্টি আইনে আইরিশদের সামনে ৮ ওভারে লক্ষ্য ১০৪

বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি ঘটে ৪ বল আগেই। এবার আইরিশদের ইনিংসের ১২ ওভার চলে গেছে বৃষ্টির পেটে। বৃষ্টি আইনে আইরিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ালো ৮ ওভারে ১০৪ রান। খেলা শুরু হবে ৫.৪০ মিনিটে। এর আগে বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে।

৪ বল বাকি থাকতে ইনিংসের ইতি, আইরিশদের সামনে লক্ষ্য ২০৮

টানা বৃষ্টির কারণে চার বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করেছে বাংলাদেশ। অল্পের জন্য বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়তে পারেনি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আজ দ্রুততম দলীয় ১০০ রানের রেকর্ড গড়ে। মাত্র ৮.৫ ওভারে (৫৩ বল) বাংলাদেশ ১০০ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন রনি। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম ফিফটি। এ ছাড়া লিটন দাস ৪৭, শামীম হোসেন ৩০ রান করেন। সাকিব ১৩ বলে ২০ ও মিরাজ ১ বলে ৪ রান করে অপরাজিত আছেন। আইরিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ইয়ং ও ১টি করে উইকেত নেন হ্যারি টেক্টর, মার্ক অ্যাডেয়ার ও গ্রাহাম হুম।

চট্টগ্রামের রেকর্ড দুইশর পর বৃষ্টির বাধা

বাংলাদেশ এর আগে তিনবার টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান করে। দুবার মিরপুরে আর একবার কলম্বোয়। প্রথমবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম ২০০ পার করে ১৮.৫ ওভারে। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি বাংলাদেশকে ইনিংস শেষ করতে দিলো না। ১৯.২ ওভার পর বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ রয়েছে। উইকেট কাভারে ঢাকা। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৭। সাকিব ২০ ও মিরাজ ৪ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশের ২০০ 

লিটন-রনির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশ মাত্র ৫৩ বলে ১০০ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম দলীয় একশ এটি। দুজন সাজঘরে ফিরলে রানে কিছুটা ভাটা পড়ে। বাংলাদেশের ২০০ পূর্ণ হয় ১১৩ বলে। দুইশর পর সাজঘরে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। ইয়ংয়ের ওয়াইড ইয়র্কারে মারতে গিয়ে হৃদয় ক্যাচ তুলে দেন ডিলানির হাতে। ৮ বলে ১৩ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মিরাজ।

৩০ রানে থামলেন শামীম, হৃদয়ের সঙ্গী সাকিব

শান্তর আউটের পর সাকিব আল হাসানের আসার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক পাঠিয়ে দেন দেন শামীম পাটোয়ারীকে। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এসে হতাশ করেননি। শুরু থেকে আগ্রাসী খেলা শামীম থামেন ২০ বলে ৩০ রান করে। অ্যাডেয়ারের অফকাটারে পরাস্ত হন তিনি। ২টি চার ও ১টি ছয়ে শামীমের ইনিংস সাজানো ছিল। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী সাকিব।

৬৭ রানে ফিরলেন রনি, ব্যাটিংয়ে শামীম-হৃদয়

গ্রাহাম হুমের স্লোয়ারে পরাস্ত রনি। হালকা সুইং করা বলে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন রনি, কিন্তু ব্যাটে বলে এক হয়নি। সরাসরি আঘাত করে উইকেটে। সমাপ্তি ঘটে দারুণ এক ইনিংসের। যদিও ফিফটির পর কিছুটা ধীরগতিতে খেলেন এই ব্যাটসম্যান। ফিফটি পেয়েছিলেন ২৪ বলে, পরে ১৪ বলে করেন ১৭ রান। আউট হন ৩৮ বলে ৬৭ রানে। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে। ব্যাটিংয়ে শামীম-হৃদয়।

রনির ঝড়ো ফিফটির পর শান্তর বিদায়

রনির ঝড়ো ফিফটির পর শান্তর বিদায়। টেক্টরকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফিরলেন শান্ত। ১ ছক্কায় ১৩ বলে ১৪ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ক্রিজে রনির সঙ্গী শামীম পাটোয়ারী।

২৪ বলে রনির প্রথম ফিফটি 

মাত্র ২৪ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকালেন রনি তালুকদার। বেন হোয়াইটকে টানা দুই চারে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন রনি। এই ম্যাচের আগে ৪ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে তার সর্বোচ্চ ছিল ২৪। ৮ বছর পর দলে ফিরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করে সম্ভাবনা দেখিয়েছেন। এবার পেলেন ঝড়ো ফিফটি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কায়।

৫৩ বলে ১০০

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আজ দ্রুততম দলীয় ১০০ রানের রেকর্ড গড়ে। মাত্র ৮.৫ ওভারে (৫৩ বল) বাংলাদেশ ১০০ রান করে।

 

 লিটনের বিদায়

দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা লিটন মাত্র ৩ রানের জন্য হফসেঞ্চুরি মিস করেন। ইয়ংয়ের স্লোয়ারে মিড অফে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু টাইমিং ঠিকমতো হয়নি, বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ৪টি চার ও ৩টি ছয়ে লিটন ২৩ বলে ৪৭ রান করেন।

লিটন-রনির ঝড়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড

পাওয়ার প্লেতে এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল ১ উইকেটে ৭৪ রান। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই রান টপকে গেছে লাল সবুজের দল। লিটন-রনির ঝড়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮১ রান। প্রথম দুই ওভারে দুই ছক্কায় ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন লিটন-রনি। লিটন শুরু থেকে আগ্রাসী ছিলেন, অন্যদিকে রনি যেন কিছুটা সময় নিচ্ছিলেন। তবে বেশি সময় নেননি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে অ্যাডেয়ারকে এক ছয় ও টানা তি চারে নেন ১৯ রান। তাতে পাওয়ার প্লেতে নতুন রেকর্ড গড়তে পারে স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লেতে লিটন ১৯ বলে ৪০ ও রনি ১৭ বলে ৩৮ রান করেন।

 

দুই ছক্কায় ঝড়ের আভাস দিয়ে লিটন-রনির শুরু

হ্যারি টেক্টরকে ইনিংসের চতুর্থ বলে লং অনে লিটন দাসের দারুণ ছয়। প্রথম ওভারে বাংলাদেশের আসে ১১ রান। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাডেয়ারকে জায়গায় দাঁড়িয়ে রনি তালুকদার লং অন অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে পার করলেন বাউন্ডারি। এক বল পরে সুইপ কর‍তে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন লিটন। অল্পের জন্য বেঁচে যান তবে বাংলাদেশ পায় বাউন্ডারি। দুই প্রান্ত থেকে দুজন শরু করলেন ঝড়ের আভাস দিয়ে। প্রথম দুই ওভারে বাংলাদেশের আসে ২৫ রান।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ। সোমবার দুপুর ২টায় খেলাটি শুরু হবে। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করবে সাকিব আল হাসানের দল।

বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলা তানভীর ইসলামের পরিবর্তে একাদশে নাসুম আহমেদ। তানভীর আয়ারল্যান্ড সিরিজের দলেই ডাক পাননি।

একাদশে যারা সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাশ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

৫ পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে আয়ারল্যান্ড

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে আয়ারল্যান্ড। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি ছাড়াও এই ম্যাচে নেই স্টিভেন ডোহেনি, নেইল রক, ফিওন হ্যান্ড, ব্যারি ম্যাকার্থি।  তাদের জায়গায় খেলছেন পল স্টার্লিং, লরকান টাকার, ক্রেইগ ইয়াং, গ্রাহাম হিউম, গ্যারেথ ডেলানি।

আয়ারল্যান্ড একাদশ 

মার্ক অ্যাডায়ার, রস অ্যাডায়ার, কার্টিস ক্যাম্পার, গ্যারেথ ডেলানি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হুম, পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, বেন হোয়াইট, ক্রেইগ ইয়াং।

 

মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ 

দুই দলের টি-টোয়েন্টিতে লড়াইয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে আছে। পাঁচ মুখোমুখিতে বাংলাদেশের জয় তিনটিতে। আয়ারল্যান্ডের একটিতে। ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আইরিশরা এ ফরম্যাটে বাংলাদেশকে আর হারাতে পারেনি। বাংলাদেশেকে হারানোর ১৪ বছরের অপেক্ষা তারা ফুরাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।

আইরিশদের হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের পর আরিশদের হারানো সহজতম কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে কোনো ক্রিকেট ম্যাচই সহজ নয়, ‘না। কোনো ক্রিকেট ম্যাচই সহজ নয়। আমরা যদি এভাবে চিন্তা করি তাহলে ক্ষতির কারণ হবে। আমরা এখনও শুরুর সময়ে আছি। এভাবেই আমরা ক্রিকেটটাকে ভালোবাসি। আমরা প্রতিটি প্রতিপক্ষকে একইভাবে মূল্যায়ন করি। কিন্তু কাউকেই ভয় পাই না। এটাই আমাদের মন্ত্র।’

এবার মিশন টি-টোয়েন্টি 

ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলকে ‘ভেরি ডেঞ্জারাস’ বলেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে না নিয়ে সমীহ করা ভালো। কিন্তু শক্তি, সামর্থ্যে, র‌্যাংকিংয়ে দীর্ঘ দূরত্বে থাকা দলকে নিয়ে এতোটা সিরিয়াস হবেন হাথুরুসিংহে তা বোঝার উপায় ছিল না। ওয়ানডে মিশন ২-০ ব্যবধানে জেতা হয়েছে। সামনে এবার টি-টোয়েন্টি মিশন।

এবারও কোচের লক্ষ্য এক, ‘আমরা একই ফল চাই যেটা ওয়ানডে সিরিজে পেয়েছি। নিজেদের ভেতরে সেই কথাই আলোচনা করেছি। আমরা একই প্রক্রিয়ায় মাঠে নামবো। আমরা ভালো দল। খেলোয়াড়দের থেকে একটাই চাওয়া, নিজেদের প্রক্রিয়ায় স্থির থাকা। দিনকে দিন এই উন্নতির পথ বাতলে দিতে চাই।’