তাসকিনকে প্রশংসায় ভাসালেন সাকিব

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

১৫ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয় পেলো বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ রানের প্রত্যাশিত জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটসম্যানরা আশাহত করলেও ফাস্ট বোলাররা, বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছেন। দারুণ এই জয়ের পর ডানহাতি পেসারকে প্রশংসায় ভাসালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ ওভারে ৪৩ রান তুলে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তারপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকা দলকে টেনে তোলেন আফিফ হোসেন, সঙ্গ দেন নুরুল হাসান সোহান। সর্বোচ্চ ৪৪ রানের এই জুটি ভাঙার পর শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ১২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।

 

১৪৪ রানে থামতে হয় বাংলাদেশকে। স্কোরবোর্ডে এই রান নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না সাকিব। আরও ১০টি রান তার চাওয়া ছিল। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বললেন, ‘এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জয় ছিল। আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরেই খেলেছি, কিন্তু আমরা জয় পাইনি। আমার মনের মধ্যে সেটা ছিল। আমরা থেমে থেমে উইকেট হারালাম। এটা খুব অসুবিধায় ফেলেছিল। আমরা জানতাম ১৫৫ হতে পারে দারুণ সংগ্রহ, ১০টি রান কম ছিল আমাদের।’

প্রত্যাশিত রান না হলেও বাংলাদেশের জয় এসেছে, এজন্য সাকিব ফাস্ট বোলারদের কৃতিত্ব দিলেন নিঃসঙ্কোচে। বিশেষ করে তাসকিনের প্রশংসায় মাতলেন তিনি। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার। তাকে নিয়ে অধিনায়ক বললেন, ‘রান কম হলেও আমাদের পেসাররা যেভাবে বল করেছে, তা অসাধারণ। আমরা এখন ফাস্ট বোলিংয়ের গুরুত্ব বুঝি, সব ফরম্যাটেই। আমরা প্রতিভা খুঁজে পেয়েছি। হাসান নতুন, তাসকিন গত কয়েক বছরের চেয়ে উন্নতি করেছে। সে আমাদের জন্য একজন ভালো বোলার, তার অভিজ্ঞতা আছে এবং গতিও আছে।’

ইয়াসির আলী রাব্বির শুরুতেই দারুণ এক ক্যাচ নেন। একেবারে নিচু হয়ে আসা বলটি ধরে ফেলেন তিনি। এরপর আফিফ হোসেনের ক্ষিপ্র থ্রোয়িংয়ে ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডকে রান আউট করেন সাকিব। একই ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোয়ে টম কুপারকে রানআউট করে মাঠছাড়া করেন নুরুল হাসান সোহান।

 

দলের দারুণ ফিল্ডিংয়ে মুগ্ধ সাকিব সামনের দিনগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন, ‘আমাদের দলের বেশিরভাগ ফিল্ডার চটপটে ও দ্রুত। আমাদের বিশ্বাস আছে যে আমরা ফিল্ডিংয়ে ৫-১০ রান বাঁচাতে পারি, যেটা বড় পার্থক্য তৈরি করতে পারে।’

আগামী ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এই ধারা ধরে রেখে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও জিততে মুখিয়ে সাকিবের দল।

 

অপরাধজাতীয়ঢাকাপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago