করোনাকালে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে আগামী রোববার (৯ জানুয়ারি) সব স্কুল-কলেজে চিঠি পাঠানো হবে। চিঠিতে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির তথ্য পাঠাতে নিদের্শনা দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তর হয়েছে। অনেকের বাল্যবিয়ে হয়েছে। কেউ কেউ বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়েছে। অনেকে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। এসব তথ্য মাঠ পর্যায় থেকে সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশি। এ লক্ষ্যে গতকাল সোমবার (৩ জানুয়ারি) মাউশির মহাপরিচালকের সভাপত্বিতে একটি সভা হয়েছে। পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে জরিপ শুরু করা হবে।
পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আমির হোসেন বলেছেন, ‘সারা দেশে কত শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে ও পরীক্ষা দিয়েছে, কতজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে আসছে না—সেসব তথ্য সংগ্রহে কাজ শুরু করা হচ্ছে। আগামী রোববার দেশের সব মাঠ কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে একটি নির্দেশনা পাঠানো হবে। তাতে ছক আকারে ই-মেইলে তথ্য পাঠাতে বলা হবে। সেটি চূড়ান্ত করতে সোমবার সভা করে প্রশ্নমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫০-৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। তবে, ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ালেখার মধ্যে আছে। বাকি ৭ শতাংশ ঝরে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, এটি আনুমানিক হিসেব। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার নির্ণয় করতে আগামী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের তথ্য পাঠাতে বলা হবে।’