ফুটবলের বিশ্বআসরে মাঠ কাঁপাবেন নেইমার-পগবা-থিয়াগো আলকানতারাদের মতো তারকা। রাশিয়ায় বিশ্বকাপ শিরোপা উচিয়ে ধরার লক্ষ্যে মাঠে নামবেন তারা। অথচ এই তারকারাই জাতীয় দলে খেলার আগে দেশের ফুটবল বিশ্বকাপের সময় গলা ফাঁটিয়েছেন। কেউ কেউ আবার চোখ ভিড়িয়েছেন কান্নায়। কারো আবার ভাসা ভাসা মনে আছে বিশ্বকাপের স্মৃতি। এই যেমন নেইমার ১৯৯৪ বিশ্বকাপের স্মৃতির কথা আপসা আপসা মনে করতে পারেন। লুকা মডরিচের স্মৃতিতে গেথে আছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কথা।
থিয়াগো আলকানতারা (স্প্যানিশ মিডফিল্ডার): থিয়াগোর বাবা মাজিনহো খেলেছেন ব্রাজিলের হয়ে। দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন ১৯৯৪ সালে। তার ছোট ভাই রাফিনহা তো ব্রাজিলের হয়েই খেলেন এখনো। কিন্তু আলকানতারা খেলেন স্পেনের হয়ে। স্পেন দলের অন্যতম সেরা এই তারকার ১৯৯৪ বিশ্বকাপের কথা তেমন মনে পড়ে না। তখন তার বয়স তিন বছর। তবে বাবার বাড়ি ফিরে আসার কথা বেশ মনে পড়ে তার। বাড়ির সবাই খুব আনন্দ করেছিল এই স্মৃতি মনে ভাসে এই মিডফিল্ডারের।
নেইমার (ব্রাজিল ফরোয়ার্ড): নেইমারের বিশ্বকাপ স্মৃতিও ১৯৯৪ বিশ্বকাপের। তখন তার বয়স দুই বছর। তিনি ঠিকঠাক মনে করতে পারেন না সে স্মৃতি। তবে তার মন বলে, হল্যান্ডের বিপক্ষে রোমারিওর গোলটা বোধ হয় দেখেছিলেন। বেবেতোর ক্রস থেকে গোল করেছিলেম তিনি। তার স্মৃতি এমনটাই বলে।
লুকা মডরিচ (ক্রোয়েশিয়া মিডফিল্ডার): লুকা তখন বেশ বড়। ১৩ বছরের বালক। ফুটবল পায়ে বেশ দৌড়ানো শেষ তার। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের স্মৃতি তার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে আছে। সেবার ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে উঠেছিল। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি জয়ের পর আমরা কেবল খুশি হয়েছিলাম এবং খুশিই হয়েছিলাম। আমার মনে আছে তখন থেকেই দেশের জন্য ওমন কিছু করার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম।’
গ্যাব্রিয়েল জেসুস (ব্রাজিল স্টাইকার): তিনি কেবল ফুটবলার না একজন পেইন্টারও। তার স্মৃতি বলতে ২০০৬, ২০১০ এবং ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রতিটি বিশ্বকাপেই তিনি ব্রাজিল দলের পতাকা, জার্সি এবং তারকাদের ছবি একেছেন রাস্তায় রাস্তায়। আর এবার তার ছবি আঁকা হচ্ছে ব্রাজিলের রাস্তায়।
হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড স্টাইকার): ‘কেমনে ভুলিবো তারে…।’ এই হলো ইংল্যান্ড তারকা হ্যারি কেনের বিশ্বকাপ স্মৃতি। ২০০২ বিশ্বকাপে তিনি বেশ বেড়ে উঠেছেন। সেবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের তারকা রোনালদিনহো ফ্রি কিক থেকে চোখ ধাঁধাঁনো এক গোল করেন। আর গোলটা ছিল হ্যারি কেনের দেশ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। হ্যারি কেন বলেন, ‘ওটা আমাকে এখনো খোঁচায়।’
জুলিয়ান ড্রাক্সলার (জার্মান ফরোয়ার্ড): জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। খেলবেন এবারের বিশ্বকাপেও। তার ছেলেবেলার বিশ্বকাপের স্মৃতি ২০০২ এবং ২০০৬ সালের। তবে ২০০২ সালে তিনি খুব ছোট ছিলেন বলে জানান। ভালো মনে করতে পারেন না বিশ্বকাপের কথা। তবে ২০০৬ বিশ্বকাপ জার্মানিতে হয়েছিল। সেটা খুব মনে আছে বলে জানান তিনি। ম্যাচের খুঁটিনাটি সেবার পরিবারের সঙ্গে দেখেছিলেন এবং বেশ মজা করেছিলেন এই জার্মান তারকা।
পল পগবা (ফ্রান্স মিডফিল্ডার): পগবার স্মৃতি মধুর। দেশকে তিনি ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার তখন বয়স ছয় থেকে সাত হবে। ব্রাজিলকে ফাইনালে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে ফ্রান্স। বাড়িতে বসে সবার সঙ্গে খেলা দেখেছিলাম।’ তিনি জানান, যেইনা ফ্রান্স বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলল আমরা গাড়ি বের করে সারা রাস্তায় শুধু হর্ন বাজিয়েছিলাম।