তানজিনাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রেখে দেন কথিত স্বামী

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগের আদর্শনগর এলাকার ডোবা থেকে তানজিনা নামের এক তরুণীর মাথা উদ্ধারের প্রায় ১১ মাস পর শরীরের কিছু অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহত তানজিনা রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে।

 

এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন নিহত তানজিনার কথিত স্বামী রাসেল (২৯)। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর থানার ঝুমুরগঞ্জ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন বলেন, হত্যার পর তানজিনার দেহ কয়েক টুকরা করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন রাসেল। পরে তিনি বাড়িওয়ালা সিরাজ খানকে জানান, তার স্ত্রী তানজিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। এরপর তিনি বাসা ছেড়ে চলে যান। পরে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার ফারিয়া গার্মেন্টের সামনের ওই ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে তানজিনার দেহবিহীন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে রহস্য উদ্ঘাটন শুরু করে পিবিআই।

তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর থেকে রাসেলকে গ্রেফতারের পর জানা যায়, মাথাটি যে ডোবায় পাওয়া গেছে সেখানেই দেহ কয়েক টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আজ ওই ডোবার পানি সেচযন্ত্র দিয়ে সেচে তানজিনার শরীরের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে।’

 

উদ্ধার অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই। সেখানে নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, রাসেলের সঙ্গে তানজিনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু পরকীয়ার কারণে তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ তানজিনাকে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন রাসেল।

তিনি আরও জানান, হত্যার পর মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফ্রিজে রেখে দেন রাসেল। ৪ এপ্রিল বস্তাবন্দি করে সেগুলো পাশের ডোবায় ফেলে দেন। ঘটনার পর হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ওই বাড়ি ছাড়েন রাসেল।