নতুন বছরে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তামিম ইকবাল নিজেকে না রাখতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) অনুরোধ করেছিলেন। তামিমের কথা রেখেছে বিসিবি। ২০২৪ সালের জন্য বিসিবি ২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। যেখানে ২০০৭ সালের পর প্রথমবার তামিম নেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।
তামিম বিপিএল দিয়ে মাঠে ফিরলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক আগে। তার ফিটনেস এবং শরীর টেস্ট খেলার মতো অবস্থায় নেই। ওয়ানডে ক্রিকেট ছিল তার একমাত্র গুরুত্বের জায়গা। কিন্তু সেখান থেকেও তামিম অনেক দূরে।
তামিমের নিজের আগ্রহ কম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার। সেই পথে পা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নিজের সিদ্ধান্ত জানান বিসিবিকে।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কেবল নতুন মুখ তাওহীদ হৃদয়। ফিরেছেন নাঈম হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তামিমের সঙ্গে বাদ পড়েছেন ইবাদত হোসেন, আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের সভায় এই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। তিন সংস্করণের জন্য আলাদা চুক্তি করা হয়েছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে। অধিনায়ক হিসেবে তিন সংস্করণে দায়িত্ব পাওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত তিন সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন। এই তালিকা থেকে তাসকিন আহমেদ বাদ পড়েছেন। শরিফুল ইসলাম তিন সংস্করণের চুক্তিতে ঢুকেছেন।
টেস্ট ও ওয়ানডে চুক্তিতে আছেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ রয়েছেন ওয়ানডে চুক্তিতে। নাঈম হাসান নিয়মিত টেস্ট খেলায় তাকে টেস্ট চুক্তিতে যুক্ত করা হয়েছে। ভাগ্য খুলেছে মাহমুদুল হাসান জয়েরও। গত এক বছর ধরে জাতীয় দলের রঙিন জার্সিতে নিয়মিত খেলা তাওহীদ হৃদয় প্রথমবার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ঢুকেছেন।
তিন সংস্করণ: সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরীফুল ইসলাম।
টেস্ট ও ওয়ানডে: মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট: মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদ।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি: তাসকিন আহমেদ, তাওহীদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ।
ওয়ানডে: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
টি-টোয়েন্টি: নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী ও কাজী নুরুল হাসান সোহান।
বাদ পড়েছেন: তামিম ইকবাল (ওয়ানডে ও টেস্ট), ইবাদত হোসেন (টেস্ট), আফিফ হোসেন (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) ও মোসাদ্দেক হোসেন (টি-টোয়েন্টি)।