রাজধানীর শাহ আলী থানায় করা এডিস আপরাধ দমন আইনের মামলায় সুজন কবিরাজ নামে এক আসামিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদারত। পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এবং এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনোয়ার উল্লা সাংবাদিকদের জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুজন কবিরাজ মিরপুর চিড়িয়াখানার মধ্যে নিয়ে এক তরুণীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেন। এ অভিযোগ আদালতে প্রমানিত হয়েছে। তাই আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, পাবনার নাজিরপুরের বাবুল প্রমাণিকের ছেলে সুজন হোসাইন পেশায় একজন কবিরাজ। বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করেন। মামলার বাদী সুজনের পূর্ব পরিচিত।
বাদীর বাসা থেকে কিছু টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হলে তা উদ্ধার করতে সুজনকে ডাকা হয়। পরে সুজন চুরি যাওয়া মালামাল শনাক্তে বাদীর মেয়েকে তার সঙ্গে দিতে বলে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর সে তাকে নিয়ে যায়। ওইদিন রাত পৌনে ১২টায় আসামি সুজন ফোন করে জানায় মিরপুর চিড়িয়াখানায় কে যেন বাদীর মেয়েকে এসিড মেরেছে। সে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় মামলা হলে গ্রেফতার হয় সুজন কবিরাজ। পরে ঘটনার কথা স্বীকার করে অাদালতে জবানবন্দি দেয় সুজন।