তবুও সাকিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে রাজি নন সুজন

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

তিনি সাকিবের ব্যাপারে অনেক ক্ষোভ ঝেড়েছেন। সাকিবকে ছাড়া খেলতে এখন আর ভয় লাগে না- এমন কথাও বলেছেন। এবং সময় হয়েছে সিনিয়রদের বিপক্ষে কড়া অ্যাকশনে যাবার- বলেও মন্তব্য করেছেন।

তারপরও অনেক কথার ভিড়ে সাকিবের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করতেও ভুল হয়নি খালেদ মাহমুদ সুজনের। সব কিছুর পরও শেষ কথা বলতে নারাজ তিনি। আর তাই সাকিবকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পক্ষে নন টিম বাংলাদেশ ডিরেক্টর।

‘আমরা ওকে (সাকিবকে) কাঠগড়ায় দাঁড় করালে হবে না। সে জাতীয় দলের জন্য, দেশের জন্য অনেক কিছু করেছে। তার কোন কথা থাকতেই পারে।’

এটুকু বলে সুজন বুঝিয়ে দেন, সেসব কথাবার্তা বলার আদর্শ প্লাটফর্ম অবশ্যই মিডিয়া নয়। কথা বলতে হবে নিয়ম, নীতি মেনে। বোর্ড কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে। তাই মুখে এমন কথা সুজনের, ‘আসলে কথা বললে খোলাসা হবে। হয়ত তার ব্রেক দরকার। ফ্যাটিগ আছে। দেশে বিদেশে সাকিবের মতো বেশি ক্রিকেট তো আমাদের আর কোন ক্রিকেটার খেলে না। তো এতকিছু না বলে একটু অপেক্ষা করি।’

‘পঞ্চ পান্ডবের’ নাম ধরে ধরে সুজন বলে ওঠেন, ‘মাশরাফি এখন যেহেতু নেই, ওর কথা নাই বললাম। কিন্তু সাকিব, রিয়াদ, মুশফিক, তামিম- ওরা ছোট থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইন ধরে উঠে এসেছে। ওদের পেছনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পুঁজিটা অনেক। তো আমরা তো ওদের কাছে তার প্রতিদানটা চাইতেই পারি। এটা তো কারও পারসোনাল টিম না, এটা বাংলাদেশ দল। এই জার্সি পরে আনন্দটা থাকা উচিত।’

‘দীর্ঘদিন খেলা এবং জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় খেলোয়াড়রা অনেক বেশি পরিশ্রান্ত ও অবসাদগ্রস্ত। এতে চাপটাও বেশি থাকে।’

সে কারণেই সোজা না ভেবে একটু অন্যভাবেও চিন্তা করার কথা বলেন সুজন। ‘তো আমরা ওভাবে না ভেবে যদি একটু সোজাভাবে চিন্তা করি, একটা ক্রিকেটার ছুটি চাইতেই পারে। কিন্তু ব্যাপারটা হল চিঠি দিয়েছিল বিরতির। এরপর পাপন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে টেস্ট ও ওয়ানডেতে খেলতে চেয়েছে। এরপর আবার কেন চেঞ্জ হল সেটা বুঝলাম না। এটা সাকিবই বলতে পারবে। ওর মনের কথা তো আর আমি বলতে পারব না। এটা আসলে বেশি না টেনে যেটা আসবে সেটা মেনে নেয়াটাই ঠিক হবে। সাকিব আসবে, এসে কথা বলবে। সে না যেতে চাইলে ভাল, না গেলে সেভাবে চিন্তা করতে হবে। এটা বড় ব্যাপার না। বিষয়টা হল বাংলাদেশ দল কারও জন্য বসে থাকবে না।’

সুজন স্বীকার করেছেন, সিনিয়ররা এখনো দলের চালিকাশক্তি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। কিন্তু কঠিন সত্য হলো, ‘দুই-তিন বছর পর ওদের ছাড়াই খেলতে হবে।’